বৃহস্পতিবার ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিকানার গর্বের পাশাপাশি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সামনে মহাকাশ বিজ্ঞানের অসীম সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এমনই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খলিলুর রহমান জানান, তিনটি কাজে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ব্যবহার হবে। এগুলো হলো ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) সেবা, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট। তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পে কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিভিন্ন কারিগরি বিষয় নিয়ে নানা কথা জানান, ব্র্যাক অন্বেষা স্যাটেলাইটের দুই নির্মাতা রায়হানা শামস অন্তরা ও আবদুল্লা হিল কাফি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশের এ স্যাটেলাইট শুধু মহাশূন্যে নয়, পৃথিবীজুড়ে আলো ছড়াবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত কুমার আদিত্য, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। ১০ মে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাড থেকে স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সময় ১১ মে রাত তিনটা। এর আগে স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণের দিন স্থির হয়েছিল ৪ মে।