কেশবপুরে বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে গৃহবধূদের পাশাপাশি মেয়েরা

11
কেশবপুরে বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে গৃহবধূদের পাশাপাশি মেয়েরা

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: শীত মৌসুম আসলেই কেশবপুরে চাল কুমড়া ও কলইয়ের বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে গৃহবধূদের পাশাপাশি মেয়েরাও। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে রপ্তানি করা হয় এই বড়ি বলে গৃহবধূরা জানান। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের ১৪৪টি গ্রামে প্রতিদিনই বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সকল বয়সের গৃহবধু ও মেয়েরা সকাল-দুপুর পর্যন্ত এই বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে দেখা গেছে।

ব্রহ্মকাটি, বালিয়াডাঙ্গা, রামচন্দপুর, ব্যাসডাঙ্গা, খতিয়াখালি, মাগুরাডাঙ্গা, রাজনগর বাকাবর্শি, গড়ভাঙ্গা, বেলকাটি, সাগরদত্তকাটি, পাঁজিয়া, কলাগাছি, নারানপুর, আড়–য়া, কাটাখালি, সুফলাকাটি ভেরচি, সন্যাসগাছা, গৌরিঘোনা, ভরত-ভায়না, আগরহাটি, কুসুলদিয়া, মজিদপুর, বাগদহ, দেউলি, শিকারপুর, প্রতাপপুর, হাসানপুর, বুড়িহাটি, বগা, সাগরদাড়ি, চিংড়া, ফতেপুর, বাশবাড়িয়া, ভাল্লুকঘর, শ্রীরামপুর, ত্রিমোহিনী, সাতবাড়িয়া, জাহানপুর, মূলগ্রাম, বেগমপুর, বাজিতপুর, মধ্যকুল, হাবাসপোলসহ অনেক গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সকল বয়সের নারীরা কুমড়া, কলই নিয়ে বড়ি তৈরি করে তা কাপড়ের উপরে সাঁজিয়ে রৌদ্রে শুকাতে দেয়। ৩/৪ দিন লাগে বড়ি শুকাতে।

ব্রহ্মকাটি গ্রামের সালেহা, সালমা, মনিরা, ফুলজান বিবি, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলেয়া, ময়না, রুপবান, কামরুন্নাহার, পারভিনা বেগম, হাসিনা বেগম, আসমা বেগম, জাহানারা বেগম, শুকজান বিবি, মনোয়ারা বেগম, চন্দনা দাস, দিপালী দাসসহ অনেকেই জানান শীত মৌসুম আসলে আমরা বাজার থেকে কলই ও কুমড়া কিনে ২ রকম একসঙ্গে করে ঢেকিতে পিসিয়ে সারা বছরের জন্য বড়ি তৈরি করে রাখি। প্রতি কেজি কলই আমরা ১০০ থেকে ১২০ এবং প্রতিটা কুমড়া ৪০/৫০ টাকা দরে ক্রয় করি।

১কেজি কলই ও একটি কুমড়াতে দেড় থেকে ২ কেজি বড়ি তৈরি হয়। এই বড়ি বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গোলআলু, পেঁয়াজের কালি, সিমসহ ইত্যাদি তরকারির সাথে রান্না করে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। প্রতি কেজি বড়ি ২/৩শত টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। আমরা প্রতি বছরের শীত মৌসুমে এই বড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকি। তাছাড়া আমাদের আতী¡য় স্বজনরা এসেও এই বড়ি নিয়ে যায়।