গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্রে জোরপূর্বক সিল ও জালভোটের কথা স্বীকার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিবউদ্দীন মণ্ডল।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্র পরিদর্শনে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালটে জোরপূর্বক সিল মারা ও জালভোট দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। তবে রকিবউদ্দীন কোনো কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, অনিয়ম হওয়া কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আর যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে বা ঢুকতে দেয়া হয়নি, সেখানে তারা এজেন্ট রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
একটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট স্থগিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এর পর ব্যবস্থার নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের এক সূত্র বলছে, অনিয়মের কারণে ৭২ ও ৭৩ নম্বর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হতে পারে। এই দুটি কেন্দ্রের অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়কে জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে এ সিটি কর্পোরেশনের ভোট শুরু হয়েছে। ভোট চলবে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। সাত মেয়রপ্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৪ সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও প্রার্থী থাকলেও গাজীপুর সিটির মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের (নৌকা) মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির (ধানের শীষ) হাসান উদ্দিন সরকার।