শেষ মুহূর্তে জমে উঠছে রাজগঞ্জের ঈদ বাজার

29

অমারেশ কুমার বিশ্বাস,রাজগঞ্জ(যশোর): মঙ্গলবার সকাল থেকে কখনো ইলশেগুঁড়ি, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনো রোদ, রাজগঞ্জের ঈদবাজারের বেচাকেনায় বাঁধা সৃষ্টি করলেও ক্রেতারা কিন্তু ঘরে বসে নেই। গতকাল সোমবার সকালেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঈদের কেনাকাটায় বেরিয়ে পড়ছেন লোকজন।

শিশু পোশাক ঘর, পাঞ্জাবি ও জুতা দোকানে ভিড় বেড়েছে কেনাকাটা ঘিরে। বৃষ্টিভেজা কর্দমাক্ত পথঘাট। তার উপর বাজারের প্রতিটি সড়কে রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশার বহর বেড়ে যানজট দুর্ভোগ। এতোসব ঝামেলার পরও এক শপিং মল থেকে আরেক শপিং মলে ঈদের দিনটি রাঙিয়ে তুলতে পছন্দের শাড়ি, পোশাক, জুতা, কসমেটিকস খুঁজে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। যে দোকানেই পছন্দ হচ্ছে সেখান থেকেই কেনাকাটা সারছেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা দরদাম কষাকষি, ঘুরাঘুরি করতে চাইছেন না। শেষ মুহূর্তে এভাবে চলছে ক্রেতাদের উৎসবমুখর কেনাকাটা। রাজগঞ্জের রুপ টাওয়ার, বিথী ফ্যাশান ,খান বস্ত্রালয়,সাথী বস্ত্রালয়ে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠছে। ঈদের কেনাকাটায় এখনো থ্রিপিস কিনছেন তরুণীরা। সাড়ে তিন হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে মিলছে ভারতীয় ব্র্যান্ডের থ্রিপিস। বাজারের রুপ টাওয়ার মার্কেটের বিথী ফ্যাশানের মালিক মো: মহাসিন জানান, ‘এবারে ভারতীয় থ্রিপিসের চাহিদা রয়েছে। এবারে তরুণীদের এসব পোশাক সম্পূর্ণ কটনের। এতে নজরকাড়া কারুকাজ রয়েছে’।

ক্রেতা তার পছন্দের পোশাকের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ব্যবস্থা করছে। অন্যদিকে ঈদের বাজারে রমণীদের পছন্দের বাহারি ডিজাইনের শাড়ির বিপুল সমাহার ঘটেছে বাজারের শাড়ি-কাপড় বিক্রির দোকানগুলোতে। ঈদকে সামনে রেখে এবারও তরুণদের পোশাকে আধুনিকতা এবং ফ্যাশনের ছোঁয়া রয়েছে।

ছেলেদের ফ্যাশনসমৃদ্ধ শর্ট শার্ট, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের শার্টের মধ্যে আরমানি, ডিএন্ডজি, কিউজি, কোলকটন, নেক্সট, ওয়ানম্যান, ব্রান্ড, প্রিমিয়াম, প্লাস, দ্য ওয়ান কালেকশন, প্যান্টের মধ্যে চায়না ও থাইল্যান্ডের সেমি ন্যারো জিন্স, গ্রেভাডিন এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের নানা বাহারি নামে শিশুদের পোশাক বিক্রিও জমে উঠেছে। ঈদ স্পেশাল হিসেবে শিশু পোশাকের নজরকাড়া কালেকশনগুলো শোভা পাচ্ছে ডলের গায়ে।