মো. জাবের হোসেন : আজ আধুনিক সাতক্ষীরার অন্যতম রুপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স.ম আলাউদ্দীনের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে দুর্বৃত্তদের হাতে শহীদ হয় সাতক্ষীরার এই কীর্তিমান মানুষের। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিনে সাতক্ষীরার আপামর জনগনের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন বলেই আজকের আমাদের এই তরুণ প্রজন্মের মনে তিনি বেঁচে আছেন, বেঁচে আছেন সাতক্ষীরার প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে।
সাতক্ষীরাকে নিয়ে তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন তিনি করে যেতে না পারলেও যে কয়টাদিন সময় তিনি পেয়েছিলেন তাতে তিনি অনেক কিছু করে দিয়ে গেছেন। তার মত ব্যক্তি ছিলো বলেই কিন্তু আমরা ভোমরা স্থলবন্দর, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স, আলাউদ্দীন ফুডস্ এন্ড কেমিক্যাল, বঙ্গবন্ধু পেশা ভিত্তিক স্কুল, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, দৈনিক পত্রদূত পেয়েছি। তিনি এতদিন থাকলে আমরা সাতক্ষীরাকে হয়তো আরো অনন্য মর্যাদায় দেখতে পেতাম।
প্রতি বছর ১৯ জুন আসলে হৃদয়টা দুমড়ে-মুচড়ে ওঠে। আহ্ আজ যদি শহীদ স.ম আলাউদ্দীন চাচা বেঁচে থাকতেন তাহলে কতই না ভালো হতো। দক্ষিণ-পশ্চিমের অবহেলা বঞ্চিত এ জেলায় আরো কত কত উন্নতির ছোঁয়া লাগতো। স.ম আলাউদ্দীন বেঁচে না থাকলেও তার কাজ-কর্মে তিনি সারাজীবন সাতক্ষীরার মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। আমি মনে করি সাতক্ষীরার সকল যুব সমাজের উচিত শহীদ স.ম আলাউদ্দীনের জীবনী পড়া ও জানা। এখনো সাতক্ষীরার প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে শহীদ স.ম আলাউদ্দীন সম্পর্কে যে ভালোবাসা দেখতে পাই সেটা সত্যি ভালো লাগার। যতদিন রবে সাতক্ষীরা ততদিন রবে শহীদ স.ম আলাউদ্দীন স্মৃতিচিহ্ন।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, লাল সবুজের কথা।