অমারেশ কুমার বিশ্বাস , রাজগঞ্জ(যশোর) : ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে রাজগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে কামার পল্লীতে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শ্রমিকরা । এসব এলাকার সব খানেই কম বেশি কামার শ্রমিক রয়েছে। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সেখানে লোহা আর হাতুড়ির শব্দে এখন আকাশ বাতাস মুখোরিত।
এ পেশার মানুষ সারা বছর কম বেশে লোহার কাজ করলেও ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বৃদ্ধি পায় তাদের কর্মব্যস্ততা। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাত অবধি চলছে তাদের রকমারির্ কর্মযজ্ঞ। ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাড়তি চাহিদা থাকায় ছুরি, দা, বটি, চাকু, চাপাতি তৈরীতে পরিবাররে সদস্যদেরও যেন নেই কোন বিশ্রাম।
পরিবার প্রধানের সাথে স্ত্রী ও সন্তানরা হাত লাগিয়ে এগিয়ে নিচ্ছে কাজের গতি।সরেজমিনে রাজগঞ্জের বিভন্নি কামার পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, কামাররা এক হাতে হাওয়া টানছে অন্য হাত দিয়ে আগুনে দেওয়া লোহা এদিক সেদিক করছে। লোহা পুরে লাল হলে দু’জন মিলে তালে তালে আঘাত করে যাচ্ছে হাতুড়ি দিয়ে। এমনি নিপুণ হাতে তৈরী করা হচ্ছে ছুরি, দা, বটি, চাকু, চাপাতি অন্যদিকে বাড়ির মহিলা সদস্যরা তৈরী করা লোহার জিনসিপত্র বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত মেশিনে ধার দিয়ে যাচ্ছেন।
আর্কষনীয় করতে কেউ বা মেশিনে ও পাথর দিয়ে ঘঁষে ঘঁষে তা পরিস্কার ঝকঝকে, তকতকে করছেন। এসব এলাকার লোহার তৈরী করা ধারালো লোহার যন্ত্রপাতির চাহিদা রয়েছে অনেক। ব্যবসায়ীরা কামারদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে বিভিন্ন এলাকায় , গ্রামে সরবরাহ করে থাকেন। কিছু কামার জানান, এ শিল্পের প্রধান উপকরণ লোহা, ইস্পাত ও কাঠ কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে অর্থ সংকটে ভূগছেন তারা।
এক সময় ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এক বস্তা কাঠ কয়লা পাওয়া যেতাে। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়িছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। কোমলপুর বাজারের বিমল কামার জানান,প্রতি বছর আমরা অল্প অল্প জিনিস তৈরী করি । বেশি ভাগ সময় যখন মাঠে মাঠে ধান কাটা ধুম পরে তখন আমরা কাঁচি তৈরী করি মোটামুটি ব্যস্ততা বিরাজ করে। বাকি সময় আমরা দা , বটি ধার দিয়ে কোন রকম চলি । বছর ঘুরে যখন ঈদুল আযহা আসে তখন সবাই কোরবানি দেওয়ার জন্য দা , বটি , ছুরি , চাপাতি তৈরী করতে আসে ।
এই সময় এই সকল জিনিসের চাহিদা বৃদ্ধি পায় , এই সময় আমরা বেশ কিছু টাকা আয় করতে পারি । সারা বছর যদি ঈদুল আযহা থাকতো তবে আমরা বেশ কিছু টাকা আয় করতে পারতাম ।