ষ্টাফ রিপোর্টারঃ যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে মুক্তার গাজী (৪০) নামের এক ডাকাতের গুলিবৃদ্ধ লাশ উদ্ধার। বুধবার সকাল আটটার সময় থানা পুলিশ উপজেলার রাজগঞ্জের হানুয়ার মাঠ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে। এর আগে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্থানীয়রা লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলি ও দুইটি খোসা উদ্ধার করেছে। লাশের ডান কানের নিচে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
মুক্তার উপজেলার রাজগঞ্জের চালুয়াহাটী ইউনিয়নের রতনদীয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি গাজীর ছেলে।
পুলিশের দাবি, দুই দল ডাকাতের মধ্যে সংঘর্ষে মুক্তার নিহত হয়েছে। সে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০ টি মামলা রয়েছে।
তবে মুক্তারের স্বজনদের দাবি, সে সাত মাস ধরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় মুক্তারের স্ত্রী সুমি খাতুন তাকে জেলখানায় দেখে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হাঁটতে বেরিয়ে স্থানীয়রা রাজগঞ্জ বাজার থেকে ২ কিলোমিটার সামনে পুলেরহাট গামী সড়কের পাশে রাস্তার পাশে আফতাফ গাজীর জমিতে একটি লাশ দেখতে পান। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শতশত মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ঝাঁপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু। তিনি গিয়ে সনাক্ত করেন লাশটি রতনদীয়া গ্রামের মুক্তার হোসেনের। পরে খবর পেয়ে সাড়ে সাতটার দিকে থানার ওসি মোকাররম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। মুক্তারের পিতা হবি গাজী ও মা শহরবানু বলেন,‘মুক্তার সাত মাস ধরে জেলখানায়। দুই-তিন দিন আগে সে জামিন পায়। কিন্তু আমরা ওকে বের করিনি। গতকাল বিকেলেও মুক্তারের বউ জেলখানায় ওর সাথে দেখা করে এসেছে।
মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, মুক্তার এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ডাকাতি অস্ত্র ও মাদকসহ মণিরামপুর সদর বেনাপোলসহ বিভিন্ন থানায় ১০ টি মামলা রয়েছে।
ওসি বলেন এই সড়কে গত ২-৩ মাস ধরে ডাকাতরা রাস্তার গাছ কেটে ডাকাতির চেষ্টা করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গত রাতে দুই দল ডাকাতের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধ হয়ে মুক্তার মারা গেছে। মুক্তারের লাশ উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।