পাটকেলঘাটায় ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!

15

রিপন হোসাইন,পাটকেলঘাটা : পাটকেলঘাটার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ইসলামকাটি মোড় সংলগ্ন কফি হাউস থেকে ৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দোকান মালিক মহিতোষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য রাতদিন বিভিন্ন মহলে দেনদরবার ও দৌড়ঝাপ অব্যাহত রাখায় জনমনের প্রশ্ন এঘটনার সাথে জড়িত মহিতোষ, নাকি পুলিশের কাছে দেয়া গোপন সংবাদদাতা কথিত সাংবাদিক ? এ নিয়ে গত কয়েকদিনে গোটা থানা এলাকায় জল্পনা কল্পনার পাশাপাশি জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকে মন্তব্য করে বলেছেন ফেন্সিডিলের কি পা গজিয়েছে ? না জ্বীন পরীরা উড়ে এসে ঐ কফি হাউসের সিলিংয়ের উপর রেখে গেছে।

বর্তমান সরকার মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করায় দেশের জনগন ব্যপকভাবে সাড়া দিয়েছে।

ঠিক তখনি পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ গত ৬ মে গোপন সংবাদ পেয়ে সকাল ৯টার দিকে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের ইসলামকাটি মোড়স্থ বারাত গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ দাশের পুত্র মহিতোষ দাশের কফি হাউসের মধ্য হতে কালো ব্যাগ ভর্তি ৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিক দোকান মালিক উপস্থিত থাকলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারনে তাকে গ্রেফতার বা নুন্যতম জিজ্ঞাসাবাদ না করে তদন্তের অজুহাতে উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিল জব্দ তালিকাভুক্ত করে।

এ সময় শত শত জনতার উপস্থিতিতে কফি হাউসের পিছন থেকে অসংখ্য ফেন্সিডিলের খালি বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও পুলিশের পক্ষ হতে কোন প্রকার টু শব্দটিও করা হয়নি। ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার অথবা সনাক্ত করতে পারেনি।

এদিকে গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত কফি হাউসের মালিক মহিতোষ দাশ কুমিরার নারায়ন অধিকারী ও বারাত গ্রামের তহিদুজ্জামানসহ কয়েকজনে পাটকেলঘাটায় এক ব্যবসায়ীর দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত বসে দেনদরবার অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া সুচতুর মহিতোষ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এবং নিজেকে আড়াল করতে জীবনের নিরাপত্তা ও হয়রানির প্রতিবাদে সাজানো সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এতে করে সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সুদে কারবারী মহিতোষ নিজের দোষ ঢাকতে দোকান থেকে ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে বলেছেন এ ঘটনায় আমি পুলিশকে সহযোগিতা করেছি।

কিন্তু উপস্থিত শত শত জনতার বক্তব্য এমনি যে প্রতিরাতে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদকসেবীরা উক্ত কফি হাউসে আসর বসাতো। সেই আসরের ব্যবহৃত অসংখ ফেন্সিডিলের খালি বোতল দোকানের পেছনে পড়ে থাকলেও বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বা মহিতোষের কোন বক্তব্য নেই।

এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ এর সরকারি সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত এস আই শাহাদাতুল আলম জানান, ফেন্সিডিল উদ্ধার ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত আছে।