অনলাইন ডেস্ক : তালা উপজেলার নগরঘাটা কাপাসডাঙ্গায় এক গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ওই গৃহবধূর নাম রেখা মন্ডল (২১)। রেখা মন্ডল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের গোপাল মন্ডলের মেয়ে ও তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের কাপাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত. চিত্ত গাইনের ছেলে সুব্রত গাইনের স্ত্রী। ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৯টার দিকে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানাগেছে, রেখা মন্ডল ও সুব্রত গাইন প্রেমের সম্পর্কে এক বছর আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। রেখার বাবা ওই বিয়ে না মানলেও, সুব্রত গাইনের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়। কাপাসডাঙ্গা গ্রামে রেখা তার শশুর বাড়িতে ঘর সংসার করতে থাকে। বিয়ের এক বছর পরে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু রেখার বাবার বাড়ির সাথে তার শশুর বাড়ির লোকদের সাথে কলহ চলতে থাকে।
দুই পরিবারের মধ্যে কলহের জের ধরে সোমবার সুব্রত গাইনের বাড়িতে কেই না থাকার সুযোগে রেখা নিজ ঘরের আড়ার সাথে শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় রেখার দেবর দেব্রত গাইন বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজার কাছে গেলে রেখার গলায় ফাঁস এটে শব্দ শুনে, দেব্রত ঘরের চাচের বেড়ার ফাক দিয়ে দেখতে পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে রেখা কে দ্রুত উদ্ধার করে। পরে তাকে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার এনে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে।
এ ঘটনায় গোপাল মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের শশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনদের নির্যাতন ও অত্যাচারের কারনে অতিষ্ট হয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি আরো জানান, রেখার মামা শশুর মন্টুর অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। গোপাল মন্ডল তার মেয়েকে সুস্থ্য অবস্থায় ফেরত পেতে চান।
রেখা মন্ডলের কাছে আত্মহত্যার কারন জানতে চাইলে রেখা মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, সুব্রত গাইনের সাথে সম্পর্ক করে আমি বিয়ে করে সুখে শান্তিতে ঘরসংসার করছি। কিন্তু আমার বাবা আমাদের বিয়ে মেনে নেয়নি বলে। আমাকে এখানে ঘর করতে দেবেনা বলে বিভিন্ন কবিরাজের কাছে গিয়ে তদবির-তাগেদা করছে। তদবিরের কারনে আমার শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে, আমার মাথা ঠিক নেই, তাই আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলাম।
তবে আমি শান্তি চাই, আমারা বাবা এবং শশুর বাড়ির লোকদের সাথে ভালো সম্পর্ক দেখতে চাই। আপনাদের কাছে দাবি আপনারা একটু আমাদের পারিবারিক সমস্যা মিটিয়ে দেন।
