অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনকল্পে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের স্থগিত সব পরীক্ষা আগামী ১৫ থেকে সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সশরীরে নেওয়ার কথা বলা হলেও এতে আবাসিক না খোলার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এই বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণ সংযুক্ত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবাসিক হল না খোলার শর্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউট পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ করবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। একইশর্তে একাডেমিক কাউন্সিলের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক অন্যান্য সেমিস্টার ফাইনাল, বার্ষিক কোর্স ফাইনাল ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হলে হার্ডওয়্যার ও ওয়েটল্যাব ভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা ব্যতিত সব পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে।
এছাড়াও সভায় সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে Loss Recovery Plan প্রণয়ন করা হয়েছে। এই Plan এর আওতায় সেমিস্টার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরীক্ষাসহ সেমিস্টারকাল ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস এবং বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশসহ পরীক্ষার শিফট সংখ্যা বৃদ্ধি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।