আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে শিশুসহ ৩ জনকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার পর নগদ টাকা সহ স্বর্ণের অলংকার লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২ জনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য জন স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ভোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের গণি সরদারের সাথে একই গ্রামের রাশেদ সরদারের ছেলে মিলন সরদারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। গণি সরদার তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সোমবার বিকেলে মিলন সরদার ও শরিফুল সরদারের নেতৃত্বে, আছির উদ্দীন সরদার, খাদিজা খাতুন, সুমি খাতুন, মেহেরুন্নেছা ছায়রা বেগমসহ ৩/৪ জন মিলে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির এক পযায়ে প্রকাশ্যে আমাদের বাড়ির ভেতর ঢুকে বাঁশের লাঠি লোহার রড, ধারালো দা লোহার সাবল দিয়ে তাছলিমা বেগম (৫০) কে মারপিট করার পর তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় যার মূল্য ৪৮ হাজার টাকা।
এ সময় আমার মেয়ে আছিয়া খাতুন (২৪) ঠেকাতে আসলে তাকেও বেদম মারপিট করে গলায় থাকা ৪৮ টাকা মূল্যে স্বর্ণের চেইন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার পর তাকে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং তার কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু কন্যা যারিন তাছনিমকে খুন করা উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে গুরুত্ব জখম করে। আছিয়া খাতুন বলেন, ইতিপূর্বে আমার পিতা-মাতাকে মারপিট ও ক্ষয়-ক্ষতি, নির্যাতন হয়রাণী করে আসছে। আসামীরা দূর্দান্ত, দূধর্ষ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় বসত ঘরের মধ্যে প্রকাশ্যে ঢুকে কাঠের শোকেস খুলে নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে আহতরা জানান। এ ব্যাপারে মিলন কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, গণি সরদারের সাথে আমার কোন পূর্ব শত্রুতা নেই। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণির স্ত্রী মেয়ে মিলে আমার ভায়ানিকে মারপিট করেছে। নগদ টাকা ও স্বর্ণের অলংকার লুট করা কোন প্রশ্নই আসেনা। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।