কেশবপুরে পাকা ঘর পেয়ে বৃদ্ধা চন্দনা বেগম আনন্দে আত্মহারা

26

আজিজুর রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধি:
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের রাস্তার ধারের টোং ঘর থেকে বৃদ্ধা চন্দনা বেগম (৭২) এখন পাকা ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। দীর্ঘ চার বছর তিনি পুলেরহাট-পাটকেলঘাটা সড়কের ধর্মপুর নামক স্থানে সড়কের পাশে মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে পাঁকা ঘর পেয়ে বৃদ্ধা চন্দনা বেগম বলেন, জীবনে ভাবতে পারিনি প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘর করে দেবেন। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অন্যদের সঙ্গে বলেন, আল্লাহ তুমি শেখ হাসিনাকে (প্রধানমন্ত্রী) মেলা দিন বাঁচাই রাখো।জানা গেছে, উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বৃদ্ধা চন্দনা বেগমের স্বামী কওছার আলী মারা যাওয়ার পরে ওই (স্বামীর) বসতভিটায় জায়গা না হওয়ায় রাস্তার ধারে নারকেল গাছের নীচে টোং ঘর বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে তিনি দিনাতিপাত করছিলেন। তাঁর সঙ্গে সড়কের পাশে ছোট্ট ওই টোং ঘরে থাকতেন মেয়ে মমতাজ খাতুন ও নাতি আবু হুরাইরা। ওই অবস্থা দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁকে ঘর দিতে তালিকাভুক্ত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহে যাওয়া কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ বিষয়টি বৃদ্ধা চন্দনা বেগম জানতে পেরে আশায় বুক বাঁধেন। মঙ্গলবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই গ্রামেই তাঁকেসহ ৯ জন ভূমি ও গৃহহীনের মাঝে ঘরের চাবি এবং জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তাঁদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফলদ বৃক্ষের চারা ও খাদ্যসামগ্রীও দেওয়া হয়েছে। এসব হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন। হস্তান্তরকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত প্রমুখ।বৃদ্ধা চন্দনা বেগমের মেয়ে মমতাজ খাতুন আবেগ আপ্লুত ও অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, আলহামদুল্লিলাহ আমরা ঘর পেয়ে অনেক খুশি। আজ (বুধবার) বিকেলে গুছাই-গাছাই ঘরে উঠেছি। আমাদেরকে আর রাস্তার পাশে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যি কষ্ট পেতে হবে না। আর চিন্তা নেই, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে এখন নিরাপদে থাকতে পারবো। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, সড়কের পাশের টোংঘর থেকে বৃদ্ধা চন্দনা বেগমকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমাদের কাছেও ভালো লাগছে। সড়কের পাশে তাঁদের মানবেতর জীবন-যাপন নজরে আসা মাত্রই তালিকায় তাঁর নাম এক নম্বরে রাখা হয়েছিল। তাঁদের জন্য বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাও সেখানে রয়েছে।