আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই যুবকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার আলতাপোল গ্রামের মৃত সামছুর রহমান শেখের ছেলে হাজ্বী আব্দুস সাত্তার শেখ সাংবাদিকদের জানান একই গ্রামের মৃত আমীর আলী খার ছেলে মহিদুল খা তার আপন ২ বোন সুখজান বিবি ও ময়না বিবির কাছ থেকে ১৭/০৯/১৯৯৮ সালে ৫ শতক জমি ক্রয় করি।
জমি ক্রয়ের দলিলে ওই সময় উল্লেখ থাকে যে, মহিদুলের পূর্ব পাশ দিয়ে ৫ ফুট রাস্তা চলাচলের জন্য ব্যবহার করিতে পারিব। সেই থেকে ওই রাস্তা ব্যবহার করে আসছি। কিছুদিন আগে ওই রাস্তাটি তলিয়ে গেলে মহিদুল সহ ২/৩ জন মিলে ওই রাস্তাটি কেটে দেন। এর পর মহিদুলের নেতৃত্বে ২/৩ জন মিলে আমার ক্রয় কৃত জমির উপর জোর পূর্বক ঘর নির্মান করার চেষ্টা করে। এঘটনায় আমি বাদি হয়ে যশোর বিজ্ঞ আদালতে একটি ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং: ২৩৮, তারিখ: ২০/০২/২০১৮। তারই প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রতিবেদন দিলে আদালত আমার পক্ষে গত ২৬/০৯/২০১৮ তারিখে আমার পক্ষে রায় দেয়। এদিকে তারই জের ধরে শনিবার সকালে আমার ক্রয়কৃত জমি মহিদুল সহ ২/৩ জন মিলে লাঠিসোটা নিয়ে ওই জমি দখল করতে গেলে আমরা প্রতিবাদ করি। এ সময় তাদের হামলায় আমার ছেলে মেহেদী হাসান শেখ (২৬) আহত হন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুত চলছিল বলে আব্দুস সাত্তার জানান। এ ব্যাপারে সরসরি মহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুস সাত্তারসহ ১০/১৫ জন মিলে আমার জমি দখল করতে আসে। এ সময় প্রতিবাদ করলে তারা আমার স্ত্রী আয়শা খাতুন (৩৪) সহ ২/৩ জনকে পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করেন। এর মধ্যে আমার স্ত্রী আয়শা খাতুনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ৩ জনসহ অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ওই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে আমিও একটি ১৪৪ ধারা মামলা করেছি।