নিজস্ব প্রতিনিধি : মুরগি বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মারামারি ঘটনায় এক কিশোরীকে মেরে গুরুতর আহত সহ বৃদ্ধ ব্যক্তিকে নির্যাতন চালিয়েছে।
কলারোয়া থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের মো: রেজাউল ইসলামের পুত্র মো: মনিরুল ইসলাম (৩০) বাদী হয়ে একই এলাকার হারুন সরদারের পুত্র মো: হাসিব (২৮), সাজ্জাদ হোসেনের পুত্র আহসান (৩০) ও আজহারুল, মিজান সরদারের ছেলে সিহাব (১৮) এবং হারুন সরদারের স্ত্রী মনোয়ারা’র নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, তার প্রতিবেশী বিবাদীদের সাথে দীর্ঘদিন মনোমালিন্য চলে আসছিলো। তাই দীর্ঘদিন ধরে বিবাদীরা বাদীদের ক্ষতি করার পায়তারা করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে বসত বাড়ীতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মুরগি বিক্রিকে কেন্দ্র করে বাদীর পিতা মো: রেজাউল সানা (৬৫) কে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করতে থাকে। তাকে বাদির চাচাতো বোন ফারুক সানার কন্যা মোছা: আরিফা খাতুন উদ্ধার করতে গেলে বিবাদীরা এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করা শুরু করে। এতে করে তার পরনের কাপড়-চোপড় ছিড়ে যাওয়া সহ তাকে শ্লীলতাহানি করে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, আজহারুল ইসলাম বাদীর বোনকে উপর্যুপরি লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়, বিবাদী সিহাব মোছা: বেগমকে তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া মাজায় আঘাত করে জখম করে।
বিবাদী মনোয়ারা খাতুনও উক্ত ঘটনায় ইন্ধন দিতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায়ে আমার পিতা-মাতার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে। পরে আমি হাসপাতালে ভর্তি করি কলারোয়ায় গিয়ে।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব মীর খায়রুল কবির জানান, দুই পক্ষ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি করার ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। তাতে আরিফা খাতুন নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আসামীরা বর্তমানে পলাতক থাকায় ধরতে পারিনি। তবে আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
