ঝিকরগাছা প্রতিনিধিঃ এমপি মনিরকে হেয়প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি পক্ষ। এমপি অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির জনবিচ্ছিন্ন নয়। গত চার বছরে উন্নয়নের কারণে অ্যাড. মনির এমপির জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে গেছেন। একজন সাদা মনের রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে সকল নেতাকর্মীর হৃদয়ে গেথে গেছেন। সমাজে এবং তার নির্বাচনী এলাকায় তাকে হেয়প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একটি পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে।
৮ ও ২৩ মে ২০১৮ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জনবিচ্ছিন্ন মনির এমপি এখন সন্ত্রাসী নির্ভর নেতা’ শিরোনামের উপসম্পাদকীয়’র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ, বাঁকড়া, শংকরপুর ও নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোস্তফা আসাদুজ্জামান আসাদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়টি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রাণীত। সমাজে এবং নির্বাচনী এলাকায় এমপি অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনিরকে এবং সাংবাদিকতার কোন নিয়ম না মেনেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা জানি, সাংবাদিকের ভাষা হয় সুন্দর ও সাবলীল।
কিন্তু সংবাদে মৃত মকছেদ আলী দফাদারকে চোর আখ্যায়িত করে “চোরের ছেলে চোর” এমন ভাষা ব্যবহার করা যায় কিনা আমাদের জানা নেই? মৃত মকছেদ আলী দফাদার বাঁকড়া জে.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীণ সেক্রেটারী (১৯৫২) ছিলেন।
তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্ধিতা করেছেন। বাঁকড়া বাজার উন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি প্রায় একশ বিঘা জমির মালিক ছিলেন। ১৯৬২ সালে জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে তিনি খুন হন। এবং প্রতিপক্ষরা তাকে চোর আখ্যায়িত করে অপপ্রচার চালিয়ে ছিল। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
যে ব্যক্তি ১৯৬২ সালে মারা যান, তিনি কিভাবে যুদ্ধবিরোধী হন? মৃত মকছেদ আলী দফাদারের চার সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তান রবিউল ইসলাম। তিনি বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শিমুলিয়া এসএমপিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারবার নির্বাচিত সভাপতি। তার বড় ছেলে ব্যাংকার ও ছোট ছেলে সদ্য লেখাপড়া শেষ করেছে। ২য় পুত্র আবুল কালাম আজাদ একজন কবি, লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঁকড়া কপোতাক্ষ ক্রীড়া চক্রের সভাপতি। তার বড় ছেলে ও দুই পুত্রবধু চিকিৎসক। ছোট ছেলে লন্ডন থেকে এমবিএ’র উপর উচ্চতর ডিগ্রীধারী। ৩য় পুত্র মাহাবুবুর রহমান বাঁকড়া বাজারের বিশিষ্ট ওষুধ ব্যবসায়ী। ৪র্থ পুত্র ইমদাদুল হক একজন মুদি ব্যবসায়ী। সকলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত। এমন একটি পরিবারকে নিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের ব্যাথিত করেছে। রবিউল ইসলাম ২০০৯ সালে না, তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন ১৯৯৬ সালে সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের হাত ধরে।
যশোরে খালেদুর রহমান টিটো ও আলী রেজা রাজুর দল পরিবর্তন করে আসলে কোন সমস্যা না হলে, গ্রাম এলাকার কেউ আওয়ামী লীগে যোগদান করলে সমস্যার কি আছে সেটা আমাদের জানা নেই। অন্যদিকে, যশোর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির কখনও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশয় দেন না।
তিনি একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা একজন রাজনৈতিক কর্মী। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে মাত্র ২৪ বছর বয়সে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে যুগ্নসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সুনামের সাথে ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বদ্ধিতাপূর্ণ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে তিনি গত চার বছরে যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছরে কোন এমপি এমন উন্নয়ন করতে পারেনি। আগের সময় সকল এমপিরা ঢাকায় থাকত। তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যেত না। কিন্তু অ্যাড. মনির এমন একজন এমপি, যিনি প্রায় সময় এলাকায় থেকে জনগণের সাথে কাজ করেন।
এখন জনগণভাবে কখন এমপি ঢাকায় যাবেন। অন্যদিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছায় ৪শ গ্রাম আছে। একজন রাজনৈতিক কর্মী ও একটি গ্রাম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে একজন এমপিকে জনবিচ্ছিন্ন বলা যায় না। গত চার বছরে উন্নয়নের কারণে অ্যাড. মনির এমপির জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে গেছেন। একজন সাদা মনের রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে সকল নেতাকর্মীর হৃদয়ে গেথে গেছেন।
তিনি জনবিচ্ছিন্ন নন, বরং তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা দেশ, জাতি ও সমাজে তাকে হেয়পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমরা ঐ সংবাদের জোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলননে উপস্থিত ছিলেন, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বজলে, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হেলাল উদ্দীন খান, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আদম শফিউল্লাহ, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জেলা কৃষকলীগের সদস্য আকবার হোসেন জাপানী প্রমুখ।