দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক স. ম. আলাউদ্দিনের ২২তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ

44
স. ম. আলাউদ্দিন
স. ম. আলাউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ সেই ভয়াল ১৯ জুন। দৈনিক পত্রদূত’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সাতক্ষীরায় কৃষি, শিল্প, চিংড়ি শিল্প বিকাশের অন্যতম পুরোধা, কারিগরি শিক্ষার রূপকার, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব স. ম. আলাউদ্দিনের ২২তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের এই ১৯ জুন রাত ১০টা ২৩ মিনিটে নিজ পত্রিকা অফিসে কর্মরত অবস্থায় সাতক্ষীরার গডফাদারদের ভাড়া করা কিলারের কাটা রাইফেলের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন স. ম. আলাউদ্দিন।

এঘটনায় নিহতের ভাই স. ম. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ১০মে সিআইডির খুলনা জোনের এএসপি খন্দকার ইকবাল হোসেন সাতক্ষীরার চিহ্নিত সন্ত্রাসী গডফাদারসহ ১০জনের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৪বছর আইনগত জটিলতা সৃষ্টি করে কোয়াশমেন্ট এবং সাতক্ষীরায় ন্যায় বিচার না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে অন্য জেলায় মামলাটির বিচারের আবেদন জানিয়ে আসামীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে বন্ধ ছিল। আইনী জটিলতা নিরসন শেষে ২০১২ সালে মামলাটির পুনরায় বিচার কাজ শুরু হয়। কিন্তু মামলাটির বিচার কাজ আজও শেষ হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম. আলাউদ্দিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১০জন আসামির মধ্যে সাইফুল্লাহ কিসলুর অপমৃত্যু হয়েছে। আজো খুঁজে পাওয়া যায়নি কিসলুর ম্যানেজার আসামি আতিয়ারকে। মামলায় সে পলাতক রয়েছে। মামলার অপর ৮জন আসামির মধ্যে কিসলুর ভাই সুলতানপুরের খলিলুল্লাহ ঝড়ু এবং আলিপুরের আব্দুস সবুর সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী গড়ফাদার হিসেবে পরিচিত। ঝড়ু-কিসলুর আর এক ভাই সন্ত্রাসী মোমিন উল্লাহ মোহন, নগরঘাটার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, তার শ্যালক শহরের কামালনগরের সন্ত্রাসী আবুল কালাম, কিসলুর সহযোগী এসকেন্দার মির্জা, প্রাণসায়রের সফিউর রহমান এবং সুলতানপুরের কাজী সাইফুল ইসলাম (পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আহত) এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় আসামি কাজী সাইফুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ভোমরা স্থলবন্দর, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের বিরোধ, কলেজ ছাত্র ভবোরঞ্জন হত্যা মামলায় স. ম. আলাউদ্দিনের বাদী পক্ষে অবস্থান নেওয়া ইত্যাদি বিষয়কে হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়। এ পর্যন্ত যে সব সাক্ষী হয়েছে সেই সব স্বাক্ষীদের জবানবন্দিতেও এগুলো স্থান পেয়েছে।

ইতোমধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ৩৬ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের স্বাক্ষী সম্পন্ন হয়েছে। ৫/৭জন স্বাক্ষী মারা গেছে। ২/৩ জন রয়েছে দেশের বাইরে। আগামী ২৭ জুন মামলার পরবর্তী স্বাক্ষীর দিন রয়েছে।

সূত্রঃ- দৈনিক পত্রদূত