বাংলার গর্ব বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পি.সি রায়)

671
আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র

বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায় পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লী গ্রামের ভূস্বামী রায় চৌধুরী পরিবারের সন্তান। তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি দক্ষিণ জনপদ জুড়ে। বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণায় তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। মারকিউরাস নাইটরাইট নামক এসিড আবিস্কার করে তিনি বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি অর্জন করেন। বিজ্ঞানী হলেও তিনি সমবায় আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ।

বিজ্ঞানী জগদিশ চন্দ্র বসু তার এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন একজন পথিকৃত ও মহান সৃষ্টির স্রষ্টা এই দুই ভূমিকাতেই পিসি রায় গভীর ভাবে প্রভাব ফেলেন। গেড়া থেকেই তিনি উচ্চ মানের মৌলিক অনুসন্ধান কাজের ক্ষেত্রে এক বিশেষ ধরণের পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।

প্রথিতযশা বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু আচার্য সম্পর্কে এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন রাসায়নিক গবেষণায় তিনি একজন প্রধান পথিকৃত। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারই কাছ থেকে শিক্ষা দিক্ষ পেয়ে আজ বহু ভারতীয় নানা ক্ষেত্রে যশ অর্জন করেছে। ১৯৬২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্মরণীকায় উল্লেখ করা হয়েছে পিসি রায়ের সততা, সরলতা ও প্রভাব বিস্তারকারী ক্ষমতা তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। তার অদম্য সাহস ও দেশ প্রেম এক অনন্য। শিল্প বিকাশে তিনি অগ্র নায়ক। তার অনন্য সৃষ্টি মারকিউরাস নাইটরাইট সফল বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি মেলে। তিন বছর ধরে ভেজাল তেলও ঘি এর উপর গবেষণা করে তিনি প্রতিবেদন তৈরি করেন। তিনি ত্যাগী মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য দিয়েছেন এবং বিলিয়েছেন।

তার সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু মানুষকে দিয়ে। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে পিসি রায় বিজ্ঞান সাধনার ফলাফলের সফল প্রয়োগ ঘটান। লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারশ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় তাকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়। তিনি বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেন। তাকে বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী বলা হয়। রসায়ন নিয়ে তিনি নতুন অনেক কিছুই উদ্ভাবন করেছেন। সে কারণেই তিনি ধ্রুবতারা।

সূত্র- ফেসবুক