অমারেশ কুমার বিশ্বাস,রাজগঞ্জ (যশোর):
মনিরামপুরে আয়রুননেছা নামের এক গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। আয়রুননেছা ঝাঁপা গ্রামের উত্তরপাড়ার আজিবর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে আজিবরের উঠানে ধান ভেজানোর হাউজে আয়রুননেছাকে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশী এক গৃহবধূ। আজিবরপক্ষের দাবি, আয়রুননেছার মৃগী রোগ ছিল। ভোরে টয়লেটে যাওয়ার জন্য পানি আনতে গিয়ে হাউজে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি।
আয়রুননেছার ভাই মুজিবুর রহমান কাবিলের অভিযোগ, তার বোনকে আজিবর মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে হাউজের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে মিথ্যা মৃগী রোগের নাটক সাজিয়েছে।
মুজিবুর রহমান কাবিল আরও জানান, ১৮ বছর আগে আজিবর রহমানের সঙ্গে তার বোন আয়রুননেছার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আজিবর যৌতুকের দাবিতে তার বোনের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। কিন্তু গরিব বাবার পক্ষে যৌতুক দেওয়া সম্ভব হয়নি। যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তার বোন স্বামীর বাড়ি ছেড়ে অনেকবার বাবার বড়িতে চলে আসতে বাধ্য হন। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে বার বার আয়রুননেছাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। অবশেষে আয়রুননেছাকে আজিবর পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে।
ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু জানান, তার ধারণা পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার স্বামী। থানার এসআই তোবারক আলী জানান, আয়রুননেছার মৃত্যু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। লাশের গলায় ও কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওসি মোকাররম হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।