‘সম্পূর্ণভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছেন’ ওবায়দুল কাদের

12

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা উন্নতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গতকাল রোববার ভোরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন মি. কাদেরের শারীরিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

‘তিনি সম্পূর্ণভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছেন এবং তিনি চিকিৎসকদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন।’

‘চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে লাইফ সাপোর্টের জন্য যেসব চিকিৎসা সরঞ্জামাদি যুক্ত করা হয়েছিল, তা খুলে ফেলা হবে। আজ সকাল দশটায় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্র খুলে ফেলা হতে পারে।’

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আশা করছেন, এই সময়ের মধ্যে পুরোপুরি চেতনা ফিরে পাবেন তিনি।

মি. বড়ুয়া জানিয়েছেন, মি. কাদেরের ব্লাড সার্কুলেশন, হার্টবিট এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে। তিনি এখনো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

এছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আনা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে, যেকোন সময় যাতে কাজে লাগানো যায়।

মি. বড়ুয়া নিজের ফেসবুক পেজেও সকালে মি. কাদেরের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।

সেখানে তিনি নেতাকর্মী ও উদ্বিগ্ন জনগণকে হাসপাতালে ভিড় না করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের কি শঙ্কামুক্ত?

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, যেহেতু এখনো তিনি ক্রিটিক্যাল করোনারি কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন, সে কারণে তাকে সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত বলেননি চিকিৎসকেরা।

‘উনার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে, চিকিৎসকেরা গতকাল জরুরি ভিত্তিতে একটি অপসারণ করেছেন। এখন আরো দুইটি ব্লক রয়েছে, সেগুলোর চিকিৎসা চলতে থাকবে।’

‘চিকিৎসকেরা বলেছেন, ব্লকগুলো সম্পূর্ণ অপসারণের জন্য বড় অপারেশনের দিকে যেতে হতে পারে’ জানান মি. বড়ুয়া।

‘এ বিষয়ে তার চলমান চিকিৎসা চলতে থাকবে। মি. কাদেরের অবস্থা স্থিতিশীল হবার পরে, বাকি চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

রোববার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন মি. কাদের।

এরপর সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসা দিতে দিতেই তার একটি হার্ট অ্যাটাক হয়।

তারপর এনজিওগ্রাম করে দেখা যায়, তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক রয়েছে, যার একটিতে স্টেন্টিং করে দেয়া হয়।

মি. কাদের ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।