শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি

107

                                         গামারী কাঠের পরিবর্তে চম্বল কাঠের ফার্নিচার সরবরাহ
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পে আওতায় কাঠের ফার্ণিচার সরবারহের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তর দরপত্র আহবান করে । এরই প্রক্ষিতে চলতি অর্থ বছরের ১৫ মে ২০৮৭ নং স্বারক পত্রে ৬৬ প্রগতি স্মরণী বারিধারা ঢাকার আকতার ফার্ণিচার লিঃ কে কার্যাদেশ দেয়া হয়।কার্যাদেশ অনুযায়ী সৃজনকৃত ক্যামিক্যালি ট্রিটেড গামারী কাঠের তৈরী কৃত লোবেঞ্চ ও ফাসটেবিল উত্তম রূপে পালিশ করে সরবারহ করার কথা বলা হয়। কিন্তুু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসবের তোয়াক্কা না করেই সম্পূর্ন নিয়ম বহির্ভুত ভাবে নিম্ন মানের চম্বল কাঠ দিয়ে ফার্ণিচার তৈরী পূর্বক যেনতেন ভাবে পালিশ করে সরবারহ করে আসছে ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আলমগীর কবীর জানান, শিক্ষার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থ বছরে দেশের ১০০টি বেসরকারি কলেজ সমূহে গামারী কাঠের তৈরীকৃত ফার্ণিচার সরবরাহের জন্য ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয় । এ সুযোগে দুর্নীতি পরায়ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মালিক সাতক্ষীরা জেলাধীন পাটকেলঘাটাস্থ জনৈক আবুল হোসেন বুদুর আল্লারদান ফার্ণিচারের কাছ থেকে সাব লিজের মাধ্যমে অতি নিম্ন মানের চম্বল কাঠের তৈরী করা ফার্ণিচার নির্বাচিত কলেজ সমূহে সরবরাহ করে আসছে। সুচতুর আবুল হোসেন সকলের অজান্তে বিভিন্ন এলাকা থেকে নিম্ন মানের চম্বল কাঠ সংগ্রহের মাধ্যমে যেনতেন ভাবে পালিশ করে সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।এসব যেন দেখার কেও নেই ।

নেই কোন তদারকী।উপজেলা প্রকৌশলী কিছুই জানেন না।নির্বাহী অফিসার দপ্তরে নেই কোন তথ্য উপাত্ত।ব্যাপক ভাবে তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে ফার্ণিচার সরবরাহ ও সংরক্ষন কমিটিতে কলেজ অধ্যক্ষ, পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যকে সচিব এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে সদস্য করে ভালমন্দ দেখার দায়িত্ব দেয়া হলেও কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই । এসব অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা আবু হানিফের ব্যবহৃত সেল ফোনে কথা হলে তিনি জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান । মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আলমগীর কবীর জানান ফার্ণিচার সরবরাহে কোন রকম অনিয়ম প্রমান পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।