আলো চৌধুরী, ঢাকা : বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উপমহাদেশে একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠন। রাজনীতিতে আগ্রহ আছে এমন যে কেউ এই সংগঠনের পদ পদবী পেতে আগ্রহী। কখনো কখনো লবিং করতেও পিছপা হন না অনেকে। লবিং করে হোক আর যেভাবেই হোক এই সংগঠনের পদ পেতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। কিন্তু শর্ত পূরণ না করে যখন কেউ পদ পদবী পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করে তখনই দেখা দেয় প্রশ্ন।
যেমন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম ইউনুসুর রহমান। তিনি বর্তমানে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগে একজন পদ প্রত্যাশী। অথচ তার নামে অভিযোগ তিনি কিছু দিন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী সারোয়ার বাবুর সাথে যুবলীগ করেছেন।
এছাড়া তিনি জুবায়দুল হক রাসেল এর অনুসারী। শুধু ইউনুসুর রহমানই নয়, পদ প্রত্যাশী প্রশান্ত মন্ডল, নুর আলম আকাশ, আশিকুর রহমান আশিক সহ অনেকেই বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। প্রশান্ত মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গাজী সারোয়ার বাবুর দোকানের ম্যানেজার এবং তার বড় ভাই হাজী স্বপন এর সাথে ৪৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ করেন।
তিনি কখনই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তিনি শুধু গাজী বাবুর কাছের লোক হওয়ায় যুবলীগ করা সত্ত্বেও কলেজ ছাত্রলীগ এর ক্যান্ডিডেট বানানো হয়েছে। নুর আলম আকাশ তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা।তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তবে সেটি অনেক আগে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গাজী বাবুর খুবই কাছের লোক এবং সব সময় তার সাথেই থাকেন। যুবলীগের সকল পোগ্রামে উপস্থিত থাকেন তিনি । তাকে সবাই যুবলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেই জানেন। অথচ তিনিও নাকি ছাত্রলীগের ক্যান্ডিডেট! আশিকুর রহমান আশিক। তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য যুবলীগ করার অভিযোগ নেই,তবে অভিযোগ যে নেই তাও নয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৫-১৬ সেশনের ডিগ্রীর ছাত্র। তিনি কলেজ ছাত্রলীগ এর সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুভর একমাত্র ক্যান্ডিডেট। তিনি খুব জুনিয়র হয়েও শুধু শুভর প্রিয়ভাজন হওয়ায় ক্যান্ডিডেট হয়েছেন।
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা এটা উদ্বিগ্ন। তাদের অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, যারা কেবল ছাত্রলীগ করেন অন্য কোনো সংগঠন করেন না, দক্ষ, যোগ্য এবং সংগঠনের প্রতি নিবেদিত প্রাণ তাদেরকেই পদ পদবী দেওয়া উচিত। তাহলে না হলে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়বে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যোগ্য, দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করবে এটাই সকলে প্রত্যাশা করছে।