ভূমিদস্যুদের দখলের প্রতিযোগিতা : মৃত প্রায় কুলিয়ার লাবন্যবতি খাল

10

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত লাবণ্যবতী খালের দুইপাশে একশ্রেনীর ভূমিদস্যুদের দখলের প্রতিযোগীতায় এই খালটি দিনদিন শুকিয়ে মৃত প্রায় অবস্থা। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চলতে থাকলেও এর কোন প্রতিকার আজও হয়নি।

যার কারনে দিনদিন হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ও মৎস্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে। লাবন্যবতি খালটি ইছামতি নদীর শাখরা নামক স্থান থেকে উৎপত্তি হয়ে কুলিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে শশাডাঙ্গার উপর দিয়ে এল্লারচর হয়ে ব্যাঙদাহের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে অবিরাম।

অন্যদিকে এক শ্রেণীর ভুমি দস্যুরা গ্রাস করে নিয়েছে খালটির সিংহ ভাগ। দৃশ্যত কুলিয়ার বালিয়াডাঙ্গার শেষ দিকটা বসতি সহ প্রায় সকল জায়গায় খালে জেগে ওঠা চরগুলোতে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তুলে অবকাঠামো ও ইচ্ছামত খালের ভিতরের জায়গায় ভেড়ি বাধ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছোট বড় ঘের। পানির অবাধ চলাচলে বড় বাধা সৃষ্টি করলেও এগুলো যেন কেউ দেখতেই পায়না। অপর দিকে এই লাবন্যবতি খালের পানির উপর ভর করে শাখরা থেকে ব্যাঙদাহ পর্যন্ত আনুমানিক ৫০ হাজার বিঘা জমিতে মৎস্য চাষ হয়।

দেশের দক্ষিনাঞ্চল অর্থাৎ সাতক্ষীরা জেলার কৃষকরা ধান ও মৎস্য চাষকে প্রধান চাষ হিসেবে মনে করে এবং তার উপরই এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া এই অঞ্চলের চিংড়ি বিদেশে রপ্তানী করে আমাদের দেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। যে চিংড়ীর অধিকাংশই যায় এই সাতক্ষীরা জেলা থেকে। তাই সাতক্ষীরা জেলা দেশের মানুষের কাছে সাদা সোনার জেলা নামে খ্যাত।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, দেবহাটা ইছামতি নদী থেকে সরাসরি জোয়ারের পানি শাখরা গেট দিয়ে চলে আসে কুলিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত একমাত্র খাল লাবন্যবতী দিয়ে। কিন্তু এক শ্রেণীর ভূমি দস্যুরা দিনদিন গ্রাস করে নিয়েছে খালটির সিংহ ভাগ।

দৃশ্যত কুলিয়ার বালিয়াডাঙ্গার শেষের দিকটা কিছুু বসতি সহ খালে জেগে ওঠা চরগুলোতে স্থায়ীভাবে বসতি গেড়ে গড়ে তুলেছে অবকাঠামো ও ইচ্ছামত খালের ভিতরের জায়গায় ভেড়ি বাধ দিয়ে তৈরি করছে ছোট বড় ঘের। পানির অবাধ চলাচলে বড় বাধা সৃষ্টি করলেও এগুলো যেন কেউ দেখতই পায়না। এমন কি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চোখের সামনেই এত সব হলেও তারা এগুলো দেখেও দেখেন না। মৃতপ্রায় এই খালটিই একমাত্র ভরসাস্থল।

তাই এলাকার সাধারণ মানুষ সহ মাছ চাষীরা অবিলম্বে লাবন্যবতি খালটির দখলমুক্ত করে যাতে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে আসে সে বিষয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ উদ্ধতন সকল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।