প্রিয়তম গো

91

বছর এসে রোকেয়া হলের গেটের সামনে বেড়ায়ে যায় ,তুমি আর আসনা। কত দিন যে তোমার পছন্দের ডিম পিঠা, শুটকি ভূনা,আর বাহারি ভর্তা বানিয়েছি তোমাকে দেব বলে! আর দেখা হল না।এত পরিশ্রম কেন করো? তোমার চোখ দুটো লাল থাকে সারা রাত ঘুমাও না বলে, নিজের একটুও যত্ন নাও না তুমি, মাস্টার্সে আসলে সবাই কতো তাজা হয়, আর তুমি এখনো শুকনা ই রয়ে গেছো।

একটু নিজেকে আরাম দাও এবার। আমি আছি তো তোমার পাশে তোমার নিঃশ্বাসে, অনুভবে। ৫০০ টাকা কেজি গরুর মাংস আমি খেতে পারি না। ৫ টাকার টমেটো আর লাল শাকে আমার পেট ভরে।হিরা, জহরতের আংটি পরলে আঙ্গুলে ফুস্কা পড়ে। তালপাতার বানানো আংটি তে শান্তি পাই আমি। রুপার নূপুরের আওয়াজ অসহ্য লাগে, তুমি আমায় শিশির দিয়ে পায়েল বানিয়ে দিও। খুব সাদাসিদে জীবন ভালো লাগে। দামি গহনা,লিপস্টিক, ওসব তো আত্মপ্রচারে ব্যস্থ মানুষগুলোর জন্য। তবে কেন তোমার এতো দুশ্চিন্তা?

একটা ছোট্ট তালপাতার ছাউনি ঘেরা ঘর হলে ই হবে। তুমি মাছ বিক্রি করবে,আমি পিঠা আচার বিক্রি করব। দিব্যি ভালো থাকব আমরা। সময় পেলে আবার চিঠি লিখব। কোন এক বই মেলায় প্রকাশিত হবে তোমার আমার ভালোবাসার গল্প।

ইতি,

তোমার সাহসী প্রিয়তমা

আর জাহান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়