দেবহাটা প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের আয়োজনে কর্মী হত্যার বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

13
দেবহাটা প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের আয়োজনে কর্মী হত্যার বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

দেবহাটা ব্যুরো ॥ ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়ে দেবহাটা প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহষ্পতিবার বিকাল ৫টায় প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠালগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৫ সাল থেকেই এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারন একমাত্র আমরাই এদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদসহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন সম্পদ উৎসর্গ করে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, তিন বছর আগে সোনাইমুড়িতে স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদেরকে নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমন করে।

সে সময় ধর্ম ব্যবসায়ীরা নতুন করে প্রচারে নামে যে, ‘হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা গির্জা নির্মাণ করছে’। তারা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইকে বলতে শুরু করল যে, ‘গির্জা ভাঙ্গো খ্রিস্টান মারো।’ তাদের উসকানিতে ইসলামী রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা নির্মাণাধীন মসজিদটিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। চার পাঁচ ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর চালানো আক্রমনে সন্ত্রাসীরা সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহীম খলিল রুবেল নামে আমাদের দুজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।

এই সন্ত্রাসীরা আবারও হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ী হত্যাকা-ের সাথে জড়িত সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করা হয়। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের দেবহাটা থানা সভাপতি মোসলেম আলী, সাধারন সম্পাদক মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।