দেবহাটায় তুচ্ছ ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রকে বাড়িতে ফেলে বেধড়ক মারপিট

25

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার সখিপুরে তুচছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোমিনুর রহমান দিপু (১৩) নামের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বাড়িতে ফেলে বেধড়ক মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শিশু দিপুর পিতা মাঝ সখিপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম। জানাযায়, সখিপুর দিঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র মোমিনুর রহমান দিপু।

সে বৃহস্পতিবার দেড়টার দিকে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পথিমধ্যে মাঝ সখিপুর গ্রামের আলী মোস্তফার পুত্র ইব্রাহিম ও একই গ্রামের নুর জামানের পুত্র হৃদয়ের কথাকাটির এক পর্যায়ে ঠেলাঠেলি হয়। ঠিক সেই সময় দিপু তাদের পাশ কাটিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় তাদেরকে গন্ডগোল না করে থামতে বলে। কিন্তু ইব্রাহিম কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দিপুর উপরে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কে ঠেলা দিয়ে তার গায়ের উপরে ফেলে দেয়। তখন দিপু গায়ের উপর ফেলে দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ইব্রাহিমের বাড়ি পাশ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় সে দৌড়ে বাড়িতে এসে তার মাকে বলে। ততক্ষনে দিপু বাড়িতে পৌছে বই-খাতা রেখে গোসল করতে আসে।

এসময় মাঝ সখিপুর গ্রামের আলী মোস্তফার মা ইব্রাহিমের দাদি আলেয়া, মোস্তফার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন এবং বোন আম্বিয়া তাকে টেনে হিচড়ে মারতে মারতে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। এসময় তাকে বাশের লাঠি দিয়ে মারপিট সহ চড়, কিল, ঘুষি মেরে তাকে ফোলা জখম করে।

এঘটনা শুনতে পেয়ে দিপুর মা তাছলিমা খাতুন নিজ সন্তান দিপুকে উদ্ধার করতে আসলে তার দিকে লক্ষ করে এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে ইব্রাহিমের পরিবারে লোকজন। দিপুর মা আলেয়া কোন দিশা না পেয়ে চিৎকার দিতে থাকে। তখন স্থানীয় কয়েকজন ছুটে এসে শিশু দিপুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এবিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) উজ্জল মৈত্র জানান, অভিযোগের সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।