তালা সুভাষিনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ

37
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

খলিলুর রহমান : সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ানের সুভাষিনি ভূমি অফিসের নায়েব ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে স¤প্রতি ভুমি অফিসে গিয়ে জানা গেছে, তার ঘুষ-দুর্নীতির সকল তথ্য। এসময় এক ভুক্তভোগীর নিকট থেকে ঘুষের টাকা দার্বি জানায় নায়েব নায়েব ইদ্রিস। তবে ঘুষের টাকা না নিয়ে এর নায্য বিচার দাবি করেন ওই হত-দরিদ্র বয়োবৃদ্ধ ভুক্তভোগী।

অভিযোগে জানা যায়, সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন সুভাষিনি ভূমি অফিসের নায়েব ইদ্রিস আলীর খাজনার দাখিলার জন্য (ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ) সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়েও অতিরিক্ত টাকা আদায় করলেও রশিদ দিচ্ছে সরকারি হিসাবেই। তালার লাউতাড়া গ্রামের হত-দরিদ্র মোঃ শফিকুুল ইসলাম সাড়ে ৩ শতাংশ জমির খাজনার দাখিলার জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু হত-দরিদ্র শফিকুুল ইসলামের পক্ষে এতো টাকা দেয়া সম্ভব হবে না জানালে তাকে কাজ না করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় এবং জোর করে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে বাধ্য হয়ে ২রা এপ্রিল দপুরে দার-দেনা করে ২৫শ টাকা দিয়ে খাজনার চেক সই করতে দেয়া হয়। অথচ খাজনা দাখিলায় ৭৭১০৪৬ নং রসিদে ৬৯০ টাকা জমার চেক দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নায়েব ইদ্রিস আলী অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে এই প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে এবং ওই হত-দরিদ্রের ঘুষের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে ।

এদিকে নায়েব ইদ্রিস আলী যোগদানের পর থেকে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন সুভাষিনি ভূমি অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া খাজনা, খারিজ, পর্চাসহ অন্যান্য ভূমি সংক্রান্ত কোন কাজ হয় না বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে জমির নামজারি (নাম খারিজ) করতে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। এছাড়া নামজারি, ডিসিআর ও দাখিলার নামে এখানে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না এমন অভিযোগও উঠেছে।

এ ব্যাপারে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিমেশ বিশ্বাস বলেন, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন সুভাষিনি ভূমি কর্মকর্তা ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।