তালার আম এখন ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশে

24

এসএম বাচ্চু,তালা: সাতক্ষীরা তথা তালা থেকে তৃতীয়বারের মতো বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে আম। আবহাওয়া ও পরিবেশগত কারণে দেশের মধ্যে সবার আগে তালা উপজেলায় আম পাকতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা।

ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার তথা তালার আম রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ইউরোপের দেশ সুইডেন, ফ্রান্স ও ইতালিতে দশ চালানে সাতক্ষীরার ৩২ টন আম পাঠানো হয়েছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর পরও এবারও সাতক্ষীরার আম ইউরোপে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান সরেজমিনে ঘুরে ও জেলা কৃষি স¤প্রাসারণ অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমের ভালো ফলনে মালিক ও ব্যবসায়ীরাও খুশি।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা থেকে তৃতীয়বারের মতো ৩৮ টন হিমসগার আম রফতানি করা হয়েছে।

আম্রপালি জুনের প্রথমে পাকে। এজন্য এই সপ্তাহেই সাতক্ষীরা সদর, তালা, দেবহাটা ও কলারোয়া উপজেলা থেকে আম্রপালি ও ল্যাংড়া আম রফতানি হবে। সাতক্ষীরা থেকে এ বছর আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২শ মেট্রিক টন। এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আম বিষমুক্ত করতে ও গুণগত মানসহ যাবতীয় বিষয় যথাযথ রাখতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নিজেই তদরকি করছেন। আমের মুকুল আসা থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয়ে আমিও তদারকি করছি। গতবছর এ জেলা থেকে ২৩ টন আম যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানি করা হয়েছে।

এ বছর কৃষিবিভাগের মাধ্যমে যাছাই বাছাই করে সদর উপজেলার ১৫০টি, কলারোয়া উপজেলার ১০০টি, দেবহাটার ৪০টি ও তালার ৮৭টিসহ ১শ হেক্টর জমির ৩৭৭টি আম বাগানের আম রফতানির জন্য আবাদ করা হয়েছে। ২২০ জন বাগান মালিককে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিষমুক্ত চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এসব বাগান থেকে ৬০০ মেট্রিকটন আম উৎপাদন করা সম্ভাব যা থেকে বাছাই করে ২০০টন আম বিদেশে রফতানি করা যাবে।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান ,উপজেলায় চলতি বছর এক হাজার ৬টি বাগান রয়েছে। যেখান থেকে আম উৎপাদন হবে প্রায় ৯শত হেক্টর। ।সাতক্ষীরার আম ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। প্রথমে গ্রাম থেকে আম বাগান কেনেন এক শ্রেণির গ্রাম্য ব্যবসায়ী।

গ্রাম্য ব্যবসায়ীদের থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এরপর সেই আম বাজার থেকে ক্রয় করেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা।

এভাবে হাত বদলের সাথে সাথে চূড়ান্ত ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে মূল্য বাড়ে তিন থেকে চার গুণ। তাছাড়া সাতক্ষীরার আম গুণে-মানে সুস্বাদু। গত চার বছর ধরে এ জেলার আম ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে।আশা করছি এবার তালা উপজেলা থেকে প্রায় ৩০-৪০ মেট্রিক টর আম রপ্তানী করতে পারবো।