ঝিনাইদহে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন

12

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি : যে বয়সে খেলার সাথীদের সাথে কানা মাছি, বউ চি খেলা খেলে আনন্দ করে সময় কাটাবে । সেই সময়ে হাতে মেহেদী লাগিয়ে বউ সেজে ঘোমটা পরে শ্বশুর বাড়ি যেতে হল তাকে।

সর্বনাশা বাল্য বিবাহের শিকার হল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কুদুস মোল্লার ৭ তম শ্রেণী পড়ূয়া ছাত্রী কিশোরী কন্যা সুমাইয়া (১৩) । গত ১৬/০৬/২০১৯ তারিখ রোজ রবিবার বিকালে রামনগর গ্রামের কুদুস মোল্লার বাড়িতে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই বিবাহ পড়ান রামনগর গ্রামের মসজিদের ইমাম আজিবর রহমান। এই বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য গান্ন ইউনিয়নের বেতাই পুলিশ ক্যাম্পে জানান হলে বেলা ১২ টার দিকে সেখান পুলিশ যায়। তারপর বেতাই ক্যাম্পের পুলিশ ৫০০০ টাকা চায় তখন তারা ২৫০০ টাকা দিলে পুলিশ ফিরে যায়। পুলিশ ফিরে যাবার পর বিকালে সুমাইয়া কে বিয়ে দিয়ে রাতেই মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা গ্রামে নিয়ে যায়।

গ্রামবাসী এবং রামনগর স্কুল সুত্রে জানা যায় যে সুমাইয়া কেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ ম শ্রেণীর ছাত্রী তার জন্ম তারিখ ০২/০৪/২০০৬। এই বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য যে পুলিশ কে খবর দেয় তার কারনে গ্রামবাসী সালিশের মাধ্যমে তাকে ২৫০০ টাকা জরিমানা করে আদায় করে।

মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাজিব বিবাহের কথা স্বীকার করে বলে যে আমি বিবাহের কথা জানতে পারি বিবাহ হয়ে যাবার পরে। তবে আমি সেখানে ছিলাম না।

এই বাল্য বিবাহ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ সাংবাদিক গেলে মেয়ের বাবা মানিক নামে এক সাংবাদিকের ফোন ধরিয়ে দিলে মানিক সাংবাদিক কে তথ্য নিতে আসার কারনে হুমকি দিয়ে জানতে চায় যে আপনাকে কে আসতে বলেছে। বিয়ে হয়ে গেছে আপনি কেন আসলেন? দেখি আপনি কি করতে পারেন? আর আমি কি করতে পারি বলে কালীগঞ্জের এমপি ভঁয় দেখায়।

এই প্রসঙ্গে বেতাই ক্যাম্পের এএসআই সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বললে সে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলে যে আমি যাওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। গরীব মানুষ আমার নাম করে যদি কেউ টাকা নেই সেটা আমি খুঁজে বের করব। তাই আমি কাউকে কিছু বলি নাই।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম বলেন যে ঘটনা আমি জানি না । তবে তথ্য প্রমান সঠিক হলে আইন গত ব্যবস্থা নিব।