জনতা-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া : সার্জেন্টের ধাওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত

17

লাল সবুজের কথা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ট্রাফিক সার্জেন্টের ধাওয়ায় ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাফিক সার্জেন্টসহ ৩ পুলিশকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখে।

এ সময় তাদের উদ্ধারের জন্য থানা পুলিশের একটি ভ্যান গেলে উত্তেজিত জনতা পুলিশভ্যান ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর চেষ্টা চালায়। এতে জনতা-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।

নিহতের নাম খাইরুজ্জামান লিটন (২৪)। তিনি উপজেলার উত্তরছাট গোপালপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। নিহত লিটন শিলখুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও একটি এনজিওতে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাইরুজ্জামান লিটন মোটরসাইকেলযোগে সোনাহাট স্থলবন্দর যাচ্ছিলেন। সোনাহাট কলেজ মোড়ে কুড়িগ্রামের টিআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের ২ সদস্য তাকে দাঁড়াতে বলে। তিনি না দাঁড়ালে টিআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের ২ সদস্য তাকে ধাওয়া করে।

এ সময় একই দিকে যাওয়া একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে লিটনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। আহত অবস্থায় তাকে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের ভাই উমর ফারুক মুকুল নিশ্চিত করেছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী, ইউএনও মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, এএসপি (সার্কেল) শওকত আলী, ওসি ইমতিয়াজ কবির ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

ওসি ইমতিয়াজ কবির জানিয়েছেন, লিটন মারা গেছে বলে তিনি শুনেছেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত রয়েছে।