কেশবপুরে সরকারী জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মানের অভিযোগ

39
কেশবপুরে সরকারী জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মানের অভিযোগ

আজিজুর রহমান, কেশবপুর থেকে: কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা বাজারের মেইন সড়কের পাশে সরকারি জমি জবর দখল করে পাঁকা ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ করা হলেও প্রভাব খাটিয়ে শরিফুল সানা নামে এক ব্যক্তি প্রকাশ্য দিবালোকে ঘর নির্মান করছেন।

এলাকাবাসী জানান, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা মৌজার ১৯৫২ নং দাগের ৭৬ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক খাস খতিয়ানের অন্তরভুক্ত জমি রয়েছে। প্রধান সড়কের পাশে সরকারি ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতেন। গত দু সপ্তাহ পূর্বে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাউশলা গ্রামের শরিফুল সানা সরকারি খাস ওই জমিতে পাকা ঘর নির্মান করতে থাকেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসীরা প্রতাপপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মৌখিক অভিযোগ করেন।

প্রতাপপুর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র রায় গত সপ্তাহে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি জমিতে ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে শরিফুল সানা প্রভাব খাটিয়ে ওই ঘর নির্মান কাজ চলমান রেখেছেন। এঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এব্যাপারে বাউশলা গ্রামের ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৯৬২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী প্রধান সড়কের পাশের ১০ শতক ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ানের অর্ন্তভূক্তি ছিলো।

বাউশলা ঈদগাহের পাশে সরকারি ওই জমিতে এলাকার মানুষ ঈদের সময় নামাজ আদায় করেন। ধর্মীয় কাজে সম্প্রতি কিছুদিন বাইরে থাকার সুযোগে শরিফুল সানা ওই জমিতে ঘর নির্মান করছেন। ঈদগাহ কমিটির পক্ষ থেকে ঘর নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হবে। একই গ্রামের আব্দুল হালিম ও মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে শরিফুল সানা ঘর নির্মাণ করছেন। খবর পেয়ে নায়েব ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে শরিফুল সানার বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রতাপপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, ৭৬ শতক প্লটের ওই জমির মধ্যে ১০ শতক খাস জমি থাকলেও কোন পাশ উল্লেখ নেই। জমির মালিকরা সামনের জমিতে ঘর নির্মান করে তাদের জমির অন্য পাশ থেকে ১০ শতক জমি বের করে দিয়েছেন। এব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এনামূল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।