কেশবপুরে সপ্তাহে ৩ দিন বসে পানের হাট ॥ উৎপাদিত পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও

12
কেশবপুরে সপ্তাহে ৩ দিন বসে পানের হাট

আজিজুর রহমান / সোহানা ফেরদৌস সুইটি, কেশবপুরঃ কেশবপুরে উৎপাদিত পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে বলে পান চাষীরা জানান। পান চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন পান চাষীরা। কেশবপুর শহরে শনি, সোম ও বুধবারে পানের হাট বসে।

বিভিন্ন অঞ্চলের পান ব্যাবসায়ীরা এই পান হাট থেকে পান ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ বিদেশেও রপ্তানি করে। গত বছর জলাবদ্ধতা থাকায় অনেক পান বরজ পানিতে তলিয়ে পানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক পান চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এবছর জলাবদ্ধতা না থাকায় পান চাষে ঝুকে পড়েছেন অনেক কৃষকরা। উপজেলার সাঁগরদাড়ি, কোমরপুর, মঙ্গলকোট, আলতাপোল, ব্রহ্মকাটি, রামচন্দ্রপুর, মধ্যকুল, পাঁজিয়াসহ অনেক গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে পানের বরজ।

উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, এবার কেশবপুর উপজেলায় ২৪৭ হেক্টর জমিতে পান চাষ করেছে কৃষকরা। ব্রহ্মকাটি গ্রামের তারিফ মোড়ল ও হযরত আলী জানান, গতবছর জলাবদ্ধতার কারণে পান বরজে হালকা পানি উঠায় আমরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছিলাম। এবছর জলাবদ্ধতা না থাকায় বরজে ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাজারে পানের দামও যথেষ্ট ভাল পাওয়া যাচ্ছে। তাদের মতে, দেড় থেকে দু’বিঘা জমিতে পানের বরজ থাকলে এবং তার সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করতে পারলে অধিক লাভবান হওয়া যায়। কোমরপুর গ্রামের পান চাষী রমজান আলী জানান, গত বছর কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানিতে আমার প্রায় ২ শতক জমির পান নষ্ট হয়েছিল। যার কারণে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম।

এবছর জলাবদ্ধতা না থাকায় পানের বরজে শুধু ফলন আর ফলন ধরেছে। পান বিক্রি করে সংসার চালানোসহ ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচও চালিয়ে যাচ্ছি ভালোভাবে। পান চাষী আনন্দ, রবীন, গোবিন্দ, গৌর, মোস্তফা, আলাউদ্দীন, খালেক, আব্দুল মালেকসহ অনেকেই জানান আমরা কেশবপুর শহরে প্রতি হাটবারে পান হাটায় পান বিক্রি করি।

আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের পান ব্যাবসায়ীরা পান ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ বিদেশেও রপ্তানি করে এবং উপজেলার দোকানদাররা পান ক্রয় করে খিলিপান হিসাবে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে।