কেশবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষককের উপর হামলার বিচারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

13
কেশবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষককের উপর হামলার বিচারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আজিজুর রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুর উপজেলার ভরতভায়না এ.বি.জি.কে. সিনিয়র ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীনকে মারপিটের ঘটনার বিচার দাবীতে সোমবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভরতভায়না এ.বি.জি.কে. সিনিয়র ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় জ্যোষ্ঠাতা লংঘন করে দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের বিভিন্ন বার্যক্রমে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠায় সম্প্রতি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে আসেন এবং তিনি জ্যোষ্ঠাতার ভিত্তিতে আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। গত ২৭ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগি ৫/৬ জন বাসায় যাওয়ার পথে সন্যাসগাছা ব্রীজের মাথায় সহকারী অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীনকে একা পেয়ে পথরোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় তারা তাকে বাশের লাঠি, লোহার রড ও ইটের খোয়া দ্বারা আঘাত করে আহত করে। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভিতি ও প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিবেন না এই মর্মে সহকারী অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীনের নিকট থেকে সাদা কাগজে লিখিত নিয়ে নেয়। লিখিত নেওয়ার সময় তারা মোবাইলে ভিডেও ধারণ করে।

এ সময় তারা অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীনকে একটি পরিত্যাক্ত ভবনে আটকে রেখে ২ ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়। এঘটনায় সহকারী অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীন বাদী হয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীনকে মারপিটের ঘটনার বিচার দাবীতে সোমবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে মাদ্রসা প্রঙ্গনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবীতে বক্তব্য রাখেন নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাকিব, ফয়সাল, হাফিজা, রায়হান, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানিয়া, সুরইয়া, ইসামিন, ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাগফুর, ফাতেমা প্রমুখ। এসময় সহকারী অধ্যাপক ছাইদ উদ্দীনকে মারপিটের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করে সংহতি প্রকাশ করেন মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক, শামসুল হক, শওকত আলী, আব্দুল ওহাব, নুর মোহাম্মদ আনছারি, মঞ্জুরুল কাদের, আব্দুর রাজ্জাক, এম এ মান্নান, সেলিম আক্তার, মিজানুর রহমান, শাহিদাতুল তাহিরা, সুরাইয়া, মারুফা, রিংকু রানী প্রমুখ। এব্যাপারে শফিকুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।