আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুরে এক যুবককে পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল আহাদকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার পিংগুলিয়া ভাটিয়াপাড়া শহরের উকিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আহাদ (৩০) সাংবাদিকদের জানান, আমি উপজেলার বাউশলা গ্রামে মামা সামাদ সরদারের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। আমি গত কয়েক মাস আগে কাজের সন্ধানে উপজেলা লালপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সরদারের ছেলে কামরুল সরদারের সঙ্গে ঢাকাতে একটি ইট ভাটায় কাজ করতে যাই। সেখানে যেয়ে কামরুল সরদারের স্ত্রী মুক্তা খাতুনের সাথে আমার পরিচয় হয়। সেই থেকে দুজন দুজনকে ভালবেসে ফেলি। এভাবে চলতে থাকে আমাদের ফোন আলাপ। সেখান থেকে কিছুদিন পর বাড়িতে এসে খুলনা শহরের আমি ও কামরুল সরদার একসাথে রিকশা চালাতাম। এর কিছুদিন পর মুক্তা খাতুন আমাকে মুঠোফোনে বলেন আমাকে বিবাহ করতে হবে। তার কথা মতো আমি মুক্তা খাতুনকে বিবাহ করি। এইভাবে চলতে থাকে আমাদের সংসার। তার কিছুদিন পর আমি ও আমার স্ত্রী মুক্তা খাতুন গোপালগঞ্জ শহরে পিতার বাড়িতে চলে যায়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে বাউশলা গ্রামে মামা সামাদের বাড়িতে আসার সাথে সাথে কামরুল আমাকে মুঠোফোনে ডাকেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ওইদিন বিকালে মঙ্গলকোট বাজারে আসা মাত্রই কামরুল ও মুক্তা খাতুনসহ ২/৩ জন মিলে আমাকে পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। দ্রুত বাজারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন দপ্তরে অভিযোগ হয়নি বলে আব্দুল আহাদ জানান। এই ব্যাপারে কামরুল সরদারের মুঠোফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
