আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে অনাবৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয় বাজারে পানের দাম বেশি হওয়ায় চোরেরা গত ২ বছর ধরে পান চাষীদের খেতের প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার পান চুরি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় পান চাষী সন্তোষ ঘোষ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
বায়সা গ্রামের পান চাষী সন্তোষ ঘোষে জানান আমার পান বরজ থেকে চোরেরা প্রায় ২০ হাজার টাকার পান চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়া গত বছরে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার পান চুরি হয়ে যায়। অরুন কুমার দাস বলেন চলতি বছরে পানের দাম চড়াও হওয়ায় চোরেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রায় ১৫ হাজার টাকার পান চুরি হয়ে গেছে আমার পান খেত থেকে।
গত বছরে প্রায় ১ লক্ষ টাকার পান চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। পান চুরি ঠেকাতে দিন রাত পান বরজে পাহারা দিতে হচ্ছে। চোরের আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে আমার। মশিয়ার রহমান জানান গত কয় বছর আগে এই পানচোর ছিলনা। গত ২০১৭ সালে ও চলতি বছরে পানের দাম বেশি থাকায় চোরেরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পান খেতে ঢুকে পান চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আমার বরজ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকার পান চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। শিবপদ ঘোষ বলেন চোরের কারণে এক প্রকার খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এবার লাভের আশায় পান চাষ করেছিলাম।
কিন্তু চোরেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠার কারণে লাভ তো দুরের কথা আসল বাচানো কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। আমাদের ধারণা এসমস্ত ছিটকে চোরেরা মাদক সেবন করার টাকা জোগাড় করতে না পেরে এই কাজে লিপ্ত হয়েছে। বায়সা গ্রামের শিবুপদ ঘোষের ক্ষেত থেকে ২৯ অক্টোবর রাতে প্রায় ৮ হাজার টাকার পান চুরি হয়ে যায়, ২০ অক্টোবর রাতে ও শুক্রবার ২ নভেম্বর দুপুরে সন্তোষ ঘোষের বরজ থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকার পান, ১৮ অক্টোবর রাতে মশিয়ার রহমানের বরজ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকার পান, ১৬ অক্টোবর রাতে শিবুপদ ঘোষের পান ক্ষেত থেকে প্রায় ৭ হাজার টাকার পান ও ১৫ অক্টোবর রাতে অরুন দাসের পান ক্ষেত থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকার পান চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।