কেশবপুরে ধানের ব্লাস্ট রোগ পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ

10
কেশবপুরে ধানের ব্লাস্ট রোগ পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ

আজিজুর রহমান, কেশবপুর থেকে: ব্লাস্ট ধানের একটি ছত্রাকজনিত মারাত্মক রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত এ রোগ হয়ে থাকে। অনুকুল আবহাওয়ায় এ রোগের আক্রমনে ফলন শতভাগ কমে যেতে পারে। চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোন সময় ব্লাস্ট রোগ হতে পারে। চলতি বোরো মৌসুমের ধানকে এ রোগের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) রোগ প্রবণ এলাকাগুলোতে কৃষক, কীটনাশক ডিলার ও সম্প্রসারণ কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় কেশবপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ধানের ব্লাস্ট রোগ পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

শনিবার উপজেলার নেপাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর কেশবপুরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ আশিক ইকবাল খান। তিনি ধানের ব্লাস্ট রোগ কেন হয়, কিভাবে ছড়ায় এবং এর দমন ব্যবস্থাপনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, দিনে গরম রাতে ঠান্ডা, শিশির ভেজা দীর্ঘ সকাল, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এ রোগ আক্রমনের জন্যে অনুকুল।

এ রোগের জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়ায়। যেসব জমির ধান নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি অথচ এলাকায় রোগের অনুকুল আবহাওয়া বিরাজমান, সেখানকার জমিতে এ রোগ হোক আর না হোক শীষ বের হওয়ার আগ মুহূর্তে প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ৮ গ্রাম ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি/ দিফা ৭৫ ডব্লিউপি, ৬ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি বা অনুমোদিত যে কোন ছত্রাকনাশক ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে বিকেলে ৫/৭ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে।

কর্মশালায় ব্রি উদ্ভাবিত বিভিন্ন উফশি জাতের ধানের ওপর বিশদভাবে আলোচনা করেন ব্রির সাতক্ষীরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো. ইব্রাহিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল মান্নান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, আবু মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।