কেশবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিলাসহ ৪ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ॥ স্বর্ণালঙ্কার লুট

12
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

আজিজুর রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা সন্ত্রাসী কায়দায় মহিলাসহ ৪ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমের পর স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জখম ব্যক্তিদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেম মোড়লের ছেলে মাসুম বিল্লাহের সাথে একই গ্রামের মৃত আফসার আলী মোড়লের ছেলে আবুল কালাম মোড়লের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। গুরুতর আহত মাসুম বিল্লাহ (৩৫) সাংবাদিকদের জানান, আসামীরা দূর্দান্ত, দূর্ধর্ষ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার, নির্যাতন, মারপিঠ, ক্ষয়-ক্ষতি ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে আমাদের। এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে আমাদের বাড়ি থেকে ১ শত গজ দূরে মাঠের জমিতে আসামীরা অনধিকার প্রবেশ করে আমার চাচা আইয়ূব হোসেনকে একা পেয়ে অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ আমাদের ইরি ব্লকের জমির পানি সরবরাহ করার ড্রেন বন্ধ করে দেয়।

ড্রেন বন্ধের প্রতিবাদ করায় মৃত আফসার আলী মোড়লের ছেলে আবুল কালাম, আব্দুল লতিফ, আঃ সালাম, ইউনুছ আলী, মৃত ফজর আলী সরদারের ছেলে আক্কাজ আলী, আজিজ মোড়লের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, জবেদ আলী মোড়লের ছেলে আঃ আজিজ, মৃত আফসার আলী মোড়লের স্ত্রী জামিলা বেগমসহ ৫/৬ জন মিলে লোহার শাবল, লোহার রড, ধারালো গাছি দা, ধারালো হাসুয়া সহ দেশী অস্ত্র হাতে নিয়ে আমার চাচা আইয়ুব হোসেন (৪৮) কে খুন করার উদ্দেশ্যে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে।

এসময় আমার চাচার আতœচিৎকারে আমি আমার পিতা আবুল কাশেম (৫৫) ও চাচাতো ভাই মতিয়ার (৩৬) চাচাকে উদ্ধার করতে গেলে আসামীরা অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। তাদের ভয়ে আমরা আমাদের বসত বাড়িতে আশ্রয় নিই। তারা আমাদের বাড়িতে জোর-পূর্বক ঢুকে আমাদেরকে খুন করার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করতে থাকে।

এসময় আমাদের চিৎকারে আমার কাকী মোছাঃ মর্জিনা বেগম (৪০) আমাদের উদ্ধার করতে আসলে আসামীরা আমার কাকীর পরিহিত শাড়ী কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী করাসহ কাকীর গলায় থাকা একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার পর কাকীকে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে আঃ সালামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দেওয়া হলেও সে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে কেশবপুর থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।