কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধ প্রতিপক্ষের হামলা মহিলাসহ রক্তাক্ত জখম ৫

বসতবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

19
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

আজিজুর রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ৫জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করাসহ বসতবাড়ি ভাংচুর ও সোনার চেইন জোর পূর্বক চিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠিছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১ জনকে কেশবপুর হাসপাতালে ও অন্য জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বাকি আহতরা স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে আকিমউদ্দীন সরদারকে প্রথমে কেশবপুর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এলাকাবাসির সূত্রে জানা গেছে উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের মৃত নছিমউদ্দিন সরদারের ছেলে আকিমউদ্দীন সরদারের সাথে তার আপন ভাই বদরউদ্দীন সরদারের সঙ্গে জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।এইর জের ধরে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে বদরউদ্দীন সরদার, তার ছেলে আব্দুল রশিদ সরদার, ইলিয়াজ সরদার,হারুন সরদারসহ ৮/১০ জন মিলে বাঁশের লাঠি,লোহার রড় হাতে নিয়ে আকিমউদ্দীন সরদারের বসতবাড়িতে যেয়ে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।

এ সময় আকিমউদ্দিন সরদারের পরিবার বাঁধা দিতে গেলে বদরউদ্দীন সরদার, তার ছেলে আব্দুল রশিদ সরদার, ইলিয়াস সরদার,হারুন সরদারসহ ৮/১০ জন মিলে আকিমউদ্দীন সরদার (৬৫) তার স্ত্রী জেহরা বেগম (৫৫) মেয়ে ফুলজান বেগম (৩২) ছেলে সোহরাব সরদার (২৮) ও তার স্ত্রী তানিয়া খাতুন (২০) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করাসহ ফুলজান বেগমের গলায় থাকা ২৪ হাজার টাকার মূল্যে সোনার চেইন জোরপূর্বক চিনিয়ে নেই।

আহত ৫ জনের মধ্যে আকিমউদ্দীন সরদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও তানিয়া খাতুনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এরিপোট লেখা পর্যন্ত কেশবপুর থানায় কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে আহত পরিবারের সূত্রে জানা গেছে।এ ব্যবাপারে বদরউদ্দিন সরদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।