কেশবপুরে জমির মালিকদের হারির টাকা না দিয়ে জোর পূর্বক মাছ চাষ করার অভিযোগ

31
কেশবপুরে জমির মালিকদের হারির টাকা না দিয়ে জোর পূর্বক মাছ চাষ করার অভিযোগ

আজিজুর রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে জমির মালিকদের হারির টাকা না দিয়ে জোর পূর্বক এক ঘের ব্যবসায়ী মাছ চাষ করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান ওই ঘেরের পানি সেচ না দেওয়ায় কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষ থেকে বঞ্চিত হবে বলে হতাশায় ভূগছে।

হারির টাকা পরিশোধ না করা ও সময় মত ঘেরের পানি সেচ করে কৃষকদের ধান চাষ করার ব্যবস্থা না করায় ঘের মালিকের বিরুদ্ধে জমির মালিকরা বিক্ষোভ করেছেন। অনেক কৃষকদের বীজতলাও নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে গত ২৮ জানুয়ারী আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী জমির ৬২ জন মালিক বিলের পাশে বিক্ষোভ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিকারের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ব্রহ্মকাটি বিলে ৮০/৮৫ জন কৃষকের প্রায় ২শ বিঘা জমি রয়েছে।

ওই বিলটি উপজেলার শিকারপুর পাত্রপাড়া গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের কাছে হারির মাধ্যমে লিজ প্রদান করা হয়। সে সময় নিয়মিত হারির টাকা পরিশোধ ও সময় মত ঘেরের পানি সেচ করে ধান চাষের ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা থাকলেও প্রভাবশালী ঘের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন এখনও পর্যন্ত কৃষকের হারির টাকা পরিশোদ না করা এবং ঘেরের পানি সেচ না করায় ঐ বিলের অর্ধশতাধিক কৃষকের ধান চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। হারির টাকা চাইলে তিনি টাকা না দিয়ে জমির মালিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন।

এ ব্যাপারে ঘের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সত্য নয়। স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা বোরো মৌসুম থেকে বঞ্চিত হবে না। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।