কেশবপুরে চাঁদার দাবীতে এক যুবককে অপহরণ ২দিন পর পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার ॥ আটক-১

10
অপহরণ
অপহরণ

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুরে চাঁদার দাবীতে ফারুক হোসেন নামে এক যুবককে অপহরণ করে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে ২ দিন ধরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফারুক হোসেনের ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে জসিম, সোহেল ও সোহেলের স্ত্রী রোমানা আফরোজার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-০২। তারিখ-০৬/০১/১৯।

পুলিশ শহরের উপজেলা পাড়া থেকে অপহৃত ওই যুবককে উদ্ধারসহ সোহেল নামের এক অপহরণকারীকে আটক করেছে। থানা সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার আড়ংপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জসিমের টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

এ বিরোধের জের ধরে গত ৪ জানুয়ারী বিকালে ফারুক হোসেন নিজ প্রয়োজনে উপজেলার ভান্ডারখোলা বাজারে আসলে জসিম ও তার সহযোগী ভোগতী-নরেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সোহেলসহ ৮/১০ জন যুবক ওই বাজার থেকে তাকে জোর পূর্বক অপহরণ করে শহরের উপজেলা পাড়ার জনৈক হারুন আর রশিদের বাড়িতে আটকিয়ে রেখে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারপিঠসহ নির্যাতন করতে থাকে। পরে ওই অপহরণকারীরা ০১৭৭০২২৯২২৮ মোবাইল নাম্বার থেকে তার ভাই জয়নাল আবেদীনের ব্যবহৃত ০১৬৭১২৩৬৭৪৮ নম্বরে মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।

ওই টাকা নিয়ে উপজেলা মোড়ে আসলে তার ভাইকে ফেরত দেয়া হবে এবং এ কথা কাউকে জানালে তার ভাইকে হত্যা করা হবে বলেও তারা হুমকি দেয়। ঘটনার ২ দিন পর ৬ জানুয়ারী অপহরণের শিকার ফারুক হোসেনের ভাই জয়নাল আবেদীন কৌশলে ঘটনাটি কেশবপুর থানার ওসিকে জানালে থানার এসআই ফকির ফেরদৌস ও প্রসেনজিৎ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ফারুক হোসেনকে উদ্ধারসহ ঘটনাস্থল থেকে সোহেলকে আটক করে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার এসআই ফকির ফেরদৌস বলেন উভয় পক্ষের মধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে। মামলার ভিকটিম ফারুক হোসেনকে জবানবন্দীর জন্য ও আসামী সোহেলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।