কেশবপুরে অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসা প্রভাষককে মারপিট

18
কেশবপুরে অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসা প্রভাষককে মারপিট

আজিজুর রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের আর্থিক লেনদেন ও ভুয়া প্রত্যায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হাদিউজ্জামান সোহাগ (৩০) নামে এক প্রভাষককে মারপিট করে নগত টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত প্রভাষক বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি হামলাকারীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিয়োগ করেছে। এদিকে শিক্ষকের উপর হামলাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ইউএনও অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভালুকঘর আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আলতাপোল গ্রামের মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে হাদিউজ্জামান সোহাগের সহকর্মীদের চাকুরীর বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই এর আর্থিক লেনদেন ও ভুয়া প্রতায়ন পত্র (ডিও) সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্ব হতে অধ্যক্ষের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ হাদিউজ্জামান সোহাগকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে আসছিলো।

যার জের ধরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে প্রভাষক সোহাগ ভালুকঘর মসজিদের সামনে পৌছানো মাত্র মাহফুজ তাকে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। সোহাগ প্রতিবাদ করতেই মাহফুজ তাকে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি করে হাতে- পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলা জখম করে। এসময় তার পকেটে থাকা নগত ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল ফোন ভাংচুর করে।

স্থানীয় লোকজন আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় হাদিউজ্জামান বাদী হয়ে মাহফুজের বিরুদ্ধে বুধবার কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এদিকে প্রভাষকের উপর হামলাকারী মাহফুজকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ভালুকঘর আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসার কমলমতি শিক্ষার্থীরা বুধবার ক্লাস বর্জন করে প্রথমে ভালুকঘর বাজার পরে শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য্যায়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ ব্যাপারে আব্দুল্যা আল মাহমুদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহাগ প্রথমে আমাকে মারধর করে তাই আতœরক্ষার্থে তাকে মারপিট করা হয়েছে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ভালুকঘর ফাঁড়ির আইসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।