কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে সাতক্ষীরা

555
কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে সাতক্ষীরা

মো: আজিজুল ইসলাম ইমরানঃ কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে,তুমি আসবে বলে, এখন সময় কৃষ্ণচূড়ার রঙ বাহারি রঙে আবীরে মাতোয়ারা হবার। এই গৃষ্মকালে কাঠফাঁটা রোদে কৃষ্ণচূড়ার আবীর নিয়ে প্রকৃতি সেজে উঠেছে বর্ণিল রুপে। দেখলেই মনে হয় প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়ার রঙে আগুন জ¦লছে। যে দিকে চোখ যায় সবুজের মাঝে শুধু লাল রঙের মূর্সনা, প্রকৃতির এই অপরুপ রঙ্গের সাজ দেখে দুচোখ জুড়িয়ে যায়।

এমনটিই সাতক্ষীরা.সদরের.রসুলপুর,কদমতলা,বকচরা.মাগুরা,পায়রাডাঙ্গা,তেতুলতলা,বারপোতা,মাহমুদপুর,আলিপুর,ধুলিহর এলাকার প্রতিটি রাস্তা ঘাট ও গ্রামের আনাচে কানাচে। লাল হলুদ রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। বৈশাখ এলেই যেনো প্রকৃতির ভালোবাসার কথা জানান দিতে লাল লাল হয়ে হেঁসে উঠে কৃষ্ণচূড়া ফুল। চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতু রাজকেও। ঋতুচক্রের আবর্তনে কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবার হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে।

কৃষ্ণচূড়ায় লাল আবীর গ্রীষ্মকে দিয়েছে এক অন্য মাত্রা। বৃহষ্পতিবার সকালে সরেজমিনে সদরের সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব,রাজ্জাক পার্ক,শিশু হাসপাতাল,খুলনার রোড় মোড়,নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, বৈশাখে কৃষ্ণচূড়া তার লাল আবীর নিয়ে পাকা রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে আপন সৌন্দের্যের মহিমা নিয়ে। দেখে মনে হচ্ছে ঋতু রাজ বসন্তের ভালোবাসা নিয়ে কৃষ্ণচূড়া তার সমস্ত রং প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই কৃষ্ণচূড়া গাছটির দিকে তাকালেই তার মুগ্ধতায় যে কারোই দৃষ্টি তৃপ্ত হবে। তাইতো কৃষ্ণচূড়া দেখেই কবি তার ভাষায় বলেছিলেন”কৃষ্ণচূড়া আগুন তুমি আগুন ঝরা বানে,খুন করেছে শূন্য তোমার গুন করেছ গানে”।

জানাগেছে , এই কৃষ্ণচূড়া ফুল লাল ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে। আমারা না জেনে একে কৃষ্ণচূড়া ফুল বলে থাকি। লাল রঙ্গের ফুলকে কৃষ্ণচূড়া ও হলুদ রঙ্গের ফুলকে রাধাচূড়া বলা হয়। তবে হলুদ রঙ্গে রাধাচূড়া এখন তেমন দেখা যায় না বললেই চলে। আমাদের দেশে এপ্রিল মাসে এই ফুল ফোটে। বছরের অন্যান্য সময় এই ফুল সচার আচার চোখে না পড়লেও এপ্রিল মে মাসে যখনি গাছে নতুন পাতা বা ফুল ফোটা শুরু করে তখনি যেন পথচারির নজর কাড়ে মনমুগ্ধকর এই কৃষ্ণচূড়া।

পথের মধ্যে লাল ও হলুদ কৃষ্ণচূড়া দেখলেই মনে হয় একটু থেমেনিই। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লাল হলুদ ফুলের সমারহ। কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব একটা বড় হয় না। তবে এর ডাল পালা পাইকোর গাছের মতো অনেক জায়ড়া পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধক বৃক্ষ কৃষ্ণচূড়া গাছ বর্তমানে উপজেলার রাস্তার দুই ধারে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ,সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদের আঙ্গিনায় শোভা পাচ্ছে। কৃষ্ণচূড়া ফূলের পাপড়ি লাল হলুদ রঙ্গের হয় এর ভিতর অংশে হালকা হলুদ রং যুক্ত আনেক দুর থেকে দেখতে মনে হয় গাছে গাছে যেন আগুন জ¦লছে।