কাস্টিং কাউচ ও যৌন হেনস্তার শিকার কালকি

58
কাস্টিং কাউচ ও যৌন হেনস্তার শিকার কালকি

বিনোদন ডেস্কঃ ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে কালকি কোয়েচলিন বলেছিলেন, ‘বলিউডে অবশ্যই কাস্টিং কাউচ রয়েছে। আমাকেও অফার দেওয়া হয়েছিল। আমার যখন অস্বস্তি হয়েছে, আমি সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি।’ এর আগে তিনি বলেছিলেন, শৈশবেই যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তার মানে একই ব্যক্তি ‘কাস্টিং কাউচ’ ও যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন।

‘হিউম্যানস অব বোম্বে’র ফেসবুক পেজে কালকি কোয়েচলিন লিখেছেন, ‘ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, তখন আমার নয় বছর বয়স। তখনো বুঝিনি, আমার সঙ্গে কী হচ্ছে। শুধু ভয় হচ্ছিল, আমার মা যেন জানতে না পারে। মনে হয়েছিল, এটা আমার দোষ। তাই অনেক বছর এ কথা কাউকে বলিনি। নিজের শরীর নিয়ে আমার কিছু বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছিল। যদি তখন আমার বলার সাহস হতো, তাহলে এ ঘটনা ঘটত না।’

সেখানে কালকি কোয়েচলিন আরও লিখেছেন, ‘কারও সহানুভূতি পাওয়ার জন্য নিজের জীবনের কঠিন অভিজ্ঞতার কথা লিখছি না। যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের মনে সাহস জোগানোর জন্য এ ঘটনা তুলে ধরছি। যাঁরা এমন ঘটনার মুখোমুখি হন, আমি বলব, কোনো সংকোচ না করে কথা বলুন।’

কালকি কোয়েচলিনের মতে, যৌনতা এখনো সমাজে নিষিদ্ধ শব্দ। সেই পুরোনো ধ্যানধারণা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাবা-মা আর পরিবারের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলে সবাই সচেতন হবে। আর যৌন হেনস্তার ঘটনা কমে যাবে।

এবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কালকি বললেন, ‘ওই সময় মিডিয়ার সামনে যেটুকু এসেছিল, আমার কাছে ঘটনাটা তার থেকে অনেক বড় ছিল। ঘটনাটা ঘটল আর নিগৃহীতা মিডিয়ার সামনে স্বীকার করে নিল, এটুকুতেই ঘটনার প্রভাব শেষ হয়ে যায় না। নিজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা, উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, এই অভিজ্ঞতা থেকে বের হওয়ার পথ খোঁজা—এই সবকিছু আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

এখন বলিউডে যে ‘#মি টু’ আন্দোলন হচ্ছে, তা নিয়ে কালকি বললেন, ‘এই মুভমেন্ট নারীদের ক্ষমতায়নের পথ আরও প্রশস্ত করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কাজের জায়গা থেকে পদত্যাগ করছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে, নারী কর্মীদের রক্ষার জন্য নতুন নতুন নিয়ম হচ্ছে, নারীদের অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি আরও সহজ করা হচ্ছে—এই পরিবর্তন খুবই গঠনমূলক।’