কলারোয়া মুরগী পালন করে স্বপ্না আজ সাম্বলবী

104
কলারোয়া মুরগী পালন করে স্বপ্না আজ সাম্বলবী

আজিজুর রহমানঃ কলারোয়া মুরগী পালন করে স্বপ্না সরকার আজ সাম্বলম্বী । জীবন সংগ্রামে এক সফল সংগ্রামী নারী । যে তার ইচ্ছায় গড়ে তুলেছিলো মুরগীর খামার সেই খামার থেকে আজ সে সফলতার মুখ দেখচ্ছে । সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে অন্যোর ভাড়া বাড়িতে তাদের বসবাস ছিলো । প্রথমে তার স্বামী মুক্তি সরকার পরের দোকানে কাজ করতো।

তা দিয়ে সংসার চালানো ছিলো কঠিন।মুরগী পালন করে তারা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তি বসবাস করছে। গড়ে তুলেছে নিজস্ব বাড়ি, জমি । ডিম ফোটানোর রয়েছে নিজস্ব মেশিন ইনকিউবেটর । বছরে লাভ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা । গড়ে তুলেছে ঔষদের দোকান। ফার্মে কজে করচ্ছে ৬ জন । প্রান্ত খামারের মালিক স্বপ্না সরকার বলেন বিয়ের পর স্বামী মুক্ত সরকার পরের ফানিচারের দোকানে কাজ করতো । অভাবের সংসার ছিলো আমাদের । ২০১২ সালে আমার স্বামীকে মুরগী পালন করার কথা বললে সে রাজী হয়ে আমাকে একটা শেড করে দেয় । আমি বাচ্চা, খাবার ও ঔষধ বাকী করে মুরগী পালন শুরু করি । চল্লিশ দিন পর তা বেচে সবার টাকা পরিশোধ করে আমার লাভ হয় ২৮ হাজার টাকা । এরপর ও আরো উৎসাহিত হয় ।

এর মধ্যে এডাপ্ট এ ভিলেজ প্রজেক্ট প্রচার কেন্দ্র হিসাবে জীবন বিশা¦স প্রতি সপ্তাহে যেতে শুরু করে তিনি জীবন বিশ্বাসের মাধ্যমে বিবিসিএফের সদস্য পদ লাভ করে সেখানে একটি মন্ডলী স্থাপন করা হয়। জীবন বিশ্বাসের অনুপ্রেরনায় তিনি মুরগীর খামার পালনে আরো উৎসাহিত হন। এরপর থেকে সেখান থেকে তার লাভ হতে শুরু হয়, তিনি আর একটি মুরগীর খামার শুরু করে এইভাবে লাভের পর লাভ করায় বর্তমানে ৪টি মুরগীর শেডে তিনহাজার পাচশত মুরগী আছে । প্রতি দিন ১ হাজার মুরগী ডিম প্রদান করে , ডিম ফোটানোর জন্য মেশিন ক্রয় করে সেটি দ্বারা নিজ বাড়ীতে সে ডিম ফোটাই, তার বর্তমানে একটি ভেটিনারী ঔষধ এর দোকান আছে। তার বর্তমান জায়গার পরিমান দেড় বিঘা ও তার ছোট ৩ টি পুকুর আছে সাথে রয়েছে পেয়ারার বাগান ।

তার গরুর রাখার জায়গা সহ রয়েছে পাখীর ফার্ম।তিনি আরো বলেন আমার স্বামী মুক্তি সরকার আমার খামারে আমার সাখে সহযোগীতা করে । এছাড়া ছেলে প্রান্ত সরকার ও মেয়ে প্রিংকা সরকার পড়াশুনার পাশাপাশি মুরগির খামারে কাজ করেন । তিনি বলেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বড় আকারে তার ব্যবসা শুরু করতে পারতাম । তাহলে অনেক মানুষের কর্মস্থাপনের সুযোগ পেত ।