জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ কলারোয়ায় এবার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশিদের মারপিট করা হয়েছে।
রাস্তাদখলের অজুহাত তুলে প্রতিবেশি ৫জন নারী-পুরুষকে মারপিটের পর তারা আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগিরা।
শনিবার (১৩এপ্রিল) সকালে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের খোরদো-বাটরা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হয়ে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত খোশাল গাজীর পুত্র নজরুল ইসলাম গাজী, নজরুলের ছোট ভাই রেজাউল করিমের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা (২৬), ভাইঝি মৃত মুজবরের কন্যা রত্না খাতুন (৩০), চাচাতো ভাই নিজাম গাজীর পুত্র কেরামত আলী গাজী (৬৭) ও বাবর আলী গাজী (৩২)।
এদের মধ্যে কারো মাথা ফেটেছে, হাত ভেঙ্গেছে ও অন্যান্যভাবে আহত হয়েছে। আহত নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে- শুক্রবার নজরুল ইসলাম ও তার ভাইদের জমির সীমানা নির্ধারণে আমিন (সার্ভেয়ার) দিয়ে জমি মাপা হয়। জমির মাপার পর সীমানা নির্ধারণ করে খুটিও পোতেন তারা।
পরে শনিবার সকালে সরকারি রাস্তার পাশে নিজেদের জমিতে নাসরিন সুলতানা ময়লা-আবর্জনা ফেলার সময় প্রতিবেশি আতিয়ার রহমান গাজীর পুত্র ইমামুল ইসলাম (২৫) তাকে রাস্তাদখলের অজুহাত তুলে বাকবিতন্ডায় জড়ান।
একপর্যায়ে ইমামুলের ভাই রবিউল ইসলাম (২২) ও কবির হোসেন (২০) নাসরিনকে মারপিট শুরু করে করে।
এসময় উল্লেখিত অপর আহতরা এগিয়ে আসলে আক্রমনকারীদের সংবাদ পেয়ে উপস্থিত মৃত চাঁদ আলী গাজীর পুত্র আতিয়ার রহমান গাজী (৫৫), শহিদুল ইসলামের পুত্র সবুজ হোসেন (২৬) লিটন হোসেন (২৪), মিঠু হোসেন (২২), আতিয়ারের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৪৫), শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কদবানু (৪৬), ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের তকব্বর গাজীর পুত্র আব্দুল জলিল (২৮) ও আব্দুল জব্বার (২৫)ও তাদের মারপিট করে চলে যান। পরে আহতাবস্থায় ৫জন নারী-পুরুষ কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।