গাজী আবদুর রহিমের একগুচ্ছ কবিতা

148
গাজী আবদুর রহিম

জার্নালিস্টের হৃদয়

গাজী আবদুর রহিম

আমি আছি তোমাদের মাঝে
এই আমি নেই
বাংলাকে ভালবেসে আমি
বারে বারে ফিরে আসবই।

হয়-তো আমি পরাজিত হব
লড়তে গিয়ে রাঘবের কালোহাতে
ঘাতকের পাষন্ড বুলেট
হার মানাবে আমাকে।

আমি আমার জন্য বাঁচি না
মানুষের জন্য বাঁচি
দুঃকর্মের বেড়াজাল ভেদ করে আমি
মানব মুক্তির সংবিধান রচি।

 

‘আজ খুব বৃষ্টি’

গাজী আবদুর রহিম

আজ আকাশে খুব মেঘ
আজ খুব বৃষ্টি,
তাই আজ আর বাইরে যাব না
জানালায় মুখ গুজে বৃষ্টি দেখব।

বৃষ্টি খুব ভাল লাগে আমার
এই কটা অধীর অপেক্ষায় ছিলাম
আকাশ দেখে কেটেছে দিন

কখনও দেখতাম মাঠে বসে
রাজহাসেরা অস্বস্তিতে পালকে গুজেছে মুখ
জিহ্বা বের করে কুকুরের সেদিন অসুখ

ও গ্রীষ্ম তোমায় আজ বিদায় জানায়
শ্রাবণের বারিধারা বহিছে ধরায়।

 

স্বপ্নের ডানা’
গাজী আবদুর রহিম

মরুভ’মির পৃথিবীতে, পাথর খুড়ে লিখি আবেগ
আমাকে মনে, কবিতা
হৃদয়ের আকাশ ছোয়া মন্দিরে;
আমি বাঁচতে চাই এই পৃথিবীতে
অনন্তকাল ধরে
আমাকে বাঁচিয়ে আমি
চলে যেতে চাই আজানা, ঠিকানায়।

 

‘মেঘ চাই না, বৃষ্টি চাই’

গাজী আবদুর রহিম

প্রচন্ড রোদ্রের প্রখরতায়
আমার মুখে যেন মেঘের আবছায়া না পড়ে,
কারণ, আমি সবাইকে আপন করে নিতে চাই

অন্তত কারো মুখে হাসি না ফোটাতে না পারি
যেন দুঃখীর চোখের অশ্রু
আমার কোমল দুহাতে মুছে দিতে পারি।

একবার এক বৃদ্ধা আর্শিবাদ দিয়েছিল,
আমি যেন অনেক বড় হই
আমি অনেক বড় হতে চাই না

আমি ছোট হয়ে থাকতে চাই
তবে, সবাইকে বড় দেখে
আমার মন আরও বড় হবে।

 

‘স্বাধীনতা তুমি হও অমর’
গাজী আবদুর রহিম

স্বাধীনতা তুমি শেষ-বেশ এসেছিলে এই বাঙলায়
তবু তুমি স্বাধীনতা এই বাংলায় হও অমর।

তবে মরে যেও না আবার
সকালে কাকের কাকা শুনে ঘুম ভেঙে,

বাংলাদেশের মন খারাপ করায়
আর, আমাকে জীবিত মারায়

রাঘবের আকাশ ছোয়া হাতে;
এই দুরবস্থা দেখে ভয় কর না-

যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ।