এলাকার জনগনের জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবো : এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি

11

মোঃ জাবের হোসেন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে মন্ত্রীসভা গঠন করে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ টানা তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।গেলো মাসের ৩০ তারিখে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।৩০০ আসনে নির্বাচনের পর বাকি থাকে সংরক্ষিত ৫০টি আসন।এই আসনগুলো সরাসরি মহিলাদের জন্য বরাদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নিজের পছন্দমত এই আসনগুলো বরাদ্ধ করে থাকেন।

ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা (৩১২) আসন নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীরা প্রচার – প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।এ তালিকায় আছেন সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি ও জেলা আ’লীগ সদস্য এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি।

দ্বীপ ইউনিয়ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুরের পাতাখালিত গ্রামে ১৯৭৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্ম মিলির। বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন নৌ কমান্ডার ছিলেন।যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি পোষ্টাল ডির্পামেন্টে চাকুরী করতেন।চার বোনের মধ্যে মিলি মেজ।বড় বোন গৃহিনী,সেজ বোন সোহারাওয়ার্দী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স।ছোট বোন প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা।

মামারবাড়ি তালা থানার খলিষখালি ইউনিয়নের মঙ্গলানন্দকাঠি গ্রামে।সেই সুবাদে খলিষখালি মাগুরা সতীসচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি পাশ করেন।১৯৯১ সালে সাতক্ষীরা সরকারী মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়।এর পরের বছর শ্যামনগরে বিয়ের কারণে শ্যামনগর মহসিন কলেজ থেকে এইসএসসি পাশ করেন।

১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা মহিলা কলেজ থেকে ডিগ্রী এবং সাতক্ষীরা ল কলেজ থেকে ১৯৯৮ সালে এলএলবি পাশ করে ২০০১ সালে সাতক্ষীরা উকিল বারে যোগদান করেন।তিনি পেশাগত জীবনে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একবার এজিপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া গত সরকারের আমলে অতিরিক্ত পিপি হিসাবে নিয়োজিত হন।বর্তমানে তিনি উক্ত পদে দায়িত্বরত আছেন।
সাতক্ষীরা বারে যোগদানের পরই ২০০১ সালে সরাসরি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে যোগদান করেন।তারপর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হন।বর্তমানে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।২০০৯ সালে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।বর্তমানে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ২ আসনের ১৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে (সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা উপজেলা) সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও এগুলোর পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে সব সময় জড়িত থেকে সমাজসেবা করে যাচ্ছেন।মাদকের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতিও তিনি। জেলাব্যাপী বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আপোষহীন সংগ্রাম করে চলেছেন।যে কারণে জেলার শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার এবং মাননীয় স্পীকার মহোদয়ের নিকট থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।
পেয়েছেন নিজেকে লড়াই সংগ্রামের ভিতর দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরষ্কার।নারী উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হল শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া।আর এক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ একটা বড় কারণ।তিনি মনোনীত হলে এ বিষয়টিতে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করা হবে বলে জানান।

তিনি বলেন আমি মনে করি নারীরা শিক্ষিত হলে যে কোন প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবেলা করতে পারে।তাই নারী শিক্ষা শতভাগ নিশ্চিত করার মধ্যদিয়ে নারী উন্নয়নে ভূমিকা পালণ করবো।সরকারী বরাদ্ধকৃত অর্থের যথাযথ মূল্যায়ন করবো।সাথে সাথে বিবাহিত বেকার নারীরা যাতে বিয়ের পর থেকে স্বামীর আয়ের অর্ধেক ভাগীদার হতে পারে তার জন্য সংসদে আইন প্রণয়ণে জোর ভূমিকা রেখে তাদের প্রাপ্যতা আদায়ের ব্যবস্হা করবো।আয়বর্ধক বিভিন্ন পেশার সৃষ্টিষ্টি করবো।আর একটা বৃদ্ধাশ্রম তৈরী করার স্বপ্ন আছে দীর্ঘদিনের।