আশাশুনিতে চেয়ারম্যান সাকিলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্ত্রীসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম

5
আশাশুনিতে চেয়ারম্যান সাকিলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্ত্রীসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম
চেয়ারম্যান সাকিল

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা ও মুুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার  শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে এ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে আহতরা অভিযোগ করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশাশুনির শ্রীউলা এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা এলাকার সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমির হোসেন জোয়াদ্দারের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা শামীমুজ্জামান পলাশ, একই এলাকার সুরেশ মন্ডলের ছেলে দিপংকর মন্ডল, সোহেল উদ্দীনের ছেলে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জোয়াদ্দারের স্ত্রী সাহিদা খনম।

আহত দিপংকর মন্ডল জানান, খাজরা ইউনিয়নের কিছু নেতাকর্মী শ্রীউলায় আসেন। তাদের নাস্তার ব্যবস্থা করার জন্য দিপংকর ও নজরুল ইসলাম শ্রীউলা বাজারে যান। বাজারে পৌছালে চেয়ারম্যান সাকিলের ছেলে সৌরভ রায়হান সাদ আকস্মিক তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

দিপংকর বিষয়টি শামীমুজ্জামান পলাশকে জানালে পলাশ ও জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে গেলে চেয়ারম্যান সাকিলের নেতৃত্বে তার ছেলে সাদ, ভাই শামীম, রেজাউল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, মহিলা মেম্বর তহমিনা ও তার স্বামী শফিকুল, শহীদুল্লাহ, জামাত নেতার পুত্র আব্দুল্লাহসহ কতিপয় ব্যক্তি জি আই পাইপ, লোহার রড, হাতুড়ি ও কুড়াল নিয়ে তাদের উপর হামলা করে।

এ সময় তারা জীবন বাঁচাতে পাশ্ববর্তী একটি দোকানে আশ্রয় নিলেও লাভ হয়নি। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাদের বেধড়ক পিটাতে থাকে। এসময় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শামীমুজ্জামান পলাশ ও জাহাঙ্গীরের মাথা থেতলে দেয়। এছাড়া দিপংকরকে মারপিট করে। এখবর শুনে পলাশের বৃদ্ধামাতা সাহিদা খানম ঘটনাস্থলে আসলে চেয়ারম্যান সাকিলের স্ত্রী শাহাজান নাজনীন ঝর্ণা পলাশকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে।

আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শামীমুজ্জামান পলাশ ও জাহাঙ্গীরের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ ঘটনায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে শুক্রবার রাত ১০.২৯ মিনিটে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।