আমতলা খানজাহান আলী আলিম মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

66
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর থানার অন্তর্গত বল্লী ইউনিয়নে অবহিত আমতলা খানজাহান আলী আলিম মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ৬,৫০,০০০ (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভাটপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তার পিতা অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মজিবুর রহমানের নিকট থেকে ৩৫,০০০০ (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং মুকুন্দপুর গ্রামের মোছাঃ রহিমা খাতুনের নিকট থেকে ৩,০০০,০০ (তিন লক্ষ) টাকা নিয়েছিল। কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৮ মাস কাটিয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে মামুনুর রশিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চাকরি দেওয়ার নাম করে মেহেদী হাসান আমার থেকে ৩,০০০,০০ (তিন লক্ষ) টাকা নিয়েছিল। বলেছিল একটা ক্লিনিকে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি দেবে কিন্তু সেখানে চাকরি হয়নি। পরবর্তীতে কলারোয়াতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দিয়েছিল কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সেখানে অন্য কেউ চাকরি করছে। তারপর সাতক্ষীরাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন প্রকল্পে চাকরির জন্য একটি কার্ড দেয় কিন্তু সেখানেও অন্য কেউ চাকরি করছে। এই বিষয়ে মেহেদী স্যারের সাথে কথা বললে তিনি বিভিন্নভাবে আমাকে থামিয়ে রেখেছিল বলতো তোমার চাকরি হয়ে যাবে। এভাবেই আমাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে এতদিন নিয়ে এসেছে। এখন তার কাছে টাকা চাইলে সে টাকা দিতে চাচ্ছে না এদিকে চাকরি ও দিচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে চাকরি এবং টাকা না দিয়ে ৮ মাস কাটিয়ে দিয়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী মুকুন্দপুর গ্রামের মোছাঃ রহিমা খাতুন জানান, আমতলা মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক মেহেদী হাসান চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার নিকট থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৩,০০০,০০ (তিন লক্ষ) টাকা নিয়েছিল। কিন্তু সে চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে এই পর্যন্ত এসেছে। চাকরি এবং টাকার কথা বললে মেহেদী বলে আমি টাকা নিয়েছি টাকা দেব। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে চাকরি এবং টাকা কিছুই দিল না।

এ বিষয়ে মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন।

আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেহেদী হাসানের চাচা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুর রহমান লাল্টুর ক্ষমতা দেখিয়ে এভাবে অসংখ্য মানুষের নিকট থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন।

এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ ওবায়দুর রহমান লাল্টুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মেহেদী টাকা নিয়েছে সেটা আমি জানিনা। আর আমি কাউকে চাকরি দেওয়ার জন্য তাকে টাকাও নিতে বলিনি। তার সাথে আমার কারো চাকরি বা টাকার বিষয়ে কথা হয়নি।

ভুক্তভোগী ভাটপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদ ও মুকুন্দপুর গ্রামের মোছাঃ রহিমা খাতুন জানান, আমরা গরিব মানুষ একটা চাকরির আশায় তার কাছে আমরা ৬,৫০,০০০ (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু সে যে এইভাবে টাকা আত্মসাত করবে সেটা বুঝতে পারিনি। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং এইভাবে যেন মেহেদী চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আর কোনো অসহায় মানুষের নিকট থেকে টাকা নিতে না পারে সেজন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করছি।