৬ জুলাই ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংগঠনের একাত্মতা প্রকাশ

26

ডেস্ক রিপোর্ট : চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র পরিষদ (বাসাছাপ)। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তবে এখনো আশানুরুপ কোন ফল পাননি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রায় মাসখানেক বিরতির পর ফের বড় কর্মসূচি ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে বৈঠকে বসবেন বলে তারা জানিয়েছেন। এ আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নব নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন বলেও তারা জানিয়েছেন।

বাসাছাপ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করার চেষ্টা করছি। শুক্রবার কলা ভবনে একটি বৈঠকের মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবার বড় আকারে কিছু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ডাকসু ভিপি নুরুল হকের সাথে তার কথা হয়েছে। তিনি এ আন্দোলনের সাথে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। সামনে বড় কর্মসূচি দেওয়া হলে তাতে তাকে ডাকা হবে।’ এসময় নুরুল হক সেসব কর্মসূচিতে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়াও ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, প্রতিলতা ব্রিগেড, কর্মজীবী নারী কল্যাণ পরিষদ সহ সকল অঙ্গ সংগঠন এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

বাসাছাপ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এজন্য যোগাযোগও করা হয়েছে।’ খুব শিগগিরই তার সাথে দেখা করার সুযোগ হতে পারে বলেও জানান তিনি।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে সেটা হলে না মানার সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এজন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার যৌক্তিকতা জনপ্রাশসন প্রতিমন্ত্রীর কাছেও তুলে ধরেছেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সংসদীয় কমিটি পাঁচবার চাকরির বয়স ৩৫ করার বিষয়টি সমর্থন করে সুপারিশ করেছে। তারপরও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে এ ব্যাপারে জানানো হলে সেসময় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন বলে চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।