হালকা বৃষ্টিতেই প্লাবিত কলারোয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

17

বিশেষ প্রতিবেদনঃ মাঝামাঝি ও মূসলধারে বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
২৫শে জুন সোমবার সকাল ৮টা থেকে হঠাৎ ঐ বৃষ্টিপাতে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে এমনকি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কর্মসংস্থানে যাওয়ারও সুযোগ না পেয়ে ঘরে বসেই অলস সময় পার করে। অঝরে ঝরতেই থাকে হালকা মেঘের মাঝারি আকারের মূসলধারে বৃষ্টি। বেলা বারোটা নাগাদও বৃষ্টিপাত দেখা যায়।এতে একপর্যায়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠে । সাথে সাথে বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয় স্কুল কলেজ শিক্ষাঙ্গনসহ বিভিন্ন হাট বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদ।
জানা যায়, সাতক্ষীরার কলারোয়ার কয়েকটি শিক্ষাঙ্গন সম্পুর্ন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। যার মধ্যে উপজেলার বেত্রাবতী হাইস্কুল অন্যতম এবং মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ে বলে জানান স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। উপজেলার বেত্রাবতী স্কুলের মাঠ পানিতে প্লাবিত হয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়।কতৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায় অবহেলায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানটি । আরো জানা যায়,পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় হালকা বৃষ্টিতে ব্যপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের।

এদিকে উপজেলার খোরদো বাজার কেন্দ্রিক জামে মসজিদের মেইন সড়ক পানিতে থৈ থৈ অবস্থা। যেটা দিয়ে কাঁচা বাজার,মাছ বাজারসহ বিভিন্ন্য প্রয়োজনীয় স্থানে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঐ প্লাবিত সড়কটি।নেই পানি নিষ্কাষনের প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা।এলাকায় নেই দেখার কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব্য।মোঃ একরামুল কবির লিন্টু নামের একজন জানান দীর্ঘদিন ধরে ঐ একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষেরও ব্যবসায়ীদের। তিনি বলেন,ছোট্ট একটা ড্রেনেজ রয়েছে যেটা প্রয়াত চেয়ারম্যান স ম আনোয়ারুল ইসলামের অসম্পূর্ণ কাজের একটা অংশ।এলাকায় জনসেবামুলক অন্যান্য কাজসহ ঐ ড্রেনেজ সম্পুর্ন কাজ শেষ করার আগেই তিনি সবাইকে ছেড়ে চলে যান পরপারে। কিন্তূ তার পর সম্পন্ন করার লোক জোটেনী এ পর্যন্ত ড্রেনেজটি। তাছাড়া বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ ঐ ড্রেনেজে পড়ে থেকে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থা হয়েছে ড্রেনেজটির চেহারা মনে হয় টিউবঅয়েলের পানিও বের হবে না। তাহলে কিভাবে ভারি বা মাঝারি বর্ষনের পানি নিষ্কাষন হবে বাজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন যায়গার ? এমনই কথা অভিযোগের সুরে ব্যক্ত করেন স্থানীয় মোঃ লিন্টুসহ উপজেলার খোরদো বাজার কেন্দ্রিক অনেকেই ।

তাছাড়া উপজেলার দেয়াড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সোমবার সকালের বৃষ্টিতে বেশ ভোগান্তিতে দিন কাটাতে হয়েছে যানবাহন চালকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের। একপর্যায়ে আকাশ মেঘলা ভাব কাটতে থাকে এবং প্রায় বেলা বারোটার দিকে স্বাভাবিক অবস্থা দেখা যায়।
কিন্তূ,ভোগান্তি থেকে যায় উপজেলার বেত্রাবতী হাইস্কুল, দেয়াড়ার খোরদো বাজার সড়কের পানি নিষ্কাষনের ধোঁয়াসা ব্যবস্থার । ভুক্তভোগী শিক্ষক, শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ জোর দাবি জানান সংশ্লিষ্টদের কাছে ঐ সমস্ত সমস্যাবহুল এলাকা দ্রুত সমস্যা সমাধানকল্পে পানি নিষ্কাষনের ড্রেনেজসহ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।